কোচের আপত্তিতে নিজেদের শিখরেই খেলা হচ্ছে না লাল-হলুদ বাহিনীর। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত শেখ জামাল ট্রফিতে অংশ নিচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল। এর পেছনে স্প্যানিশ কোচ আলেজান্দ্রোর আপত্তিই মূল কারণ। তবে কলকাতার অন্য দুই প্রধান মোহন বাগান ও মহমেডান স্পোর্টিং এই প্রতিযোগিতায় খেলবে বলে জানা গেছে।
দলের অন্দরের খবর, লাল-হলুদ কোচ তখন আই লিগের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেবেন। উন্নতমানের ট্রেনিংয়ের জন্য দলকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। এই ভাবনা তিনি জানিয়েছেন কোয়েসের চেয়ারম্যানকে। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত সম্মতি দেন কি না তা নিয়ে তথ্যাভিজ্ঞমহলে সংশয় রয়েছে। বাংলাদেশের টুর্নামেন্টে ইস্ট বেঙ্গলকে বিশেষভাবে চেয়েছিলেন ওপার বাংলার ফুটবল কর্তারা। শেখ জামাল ট্রফির সংগঠকরা ইস্ট বেঙ্গলের ইনভেস্টর কোয়েসের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
কলকাতার দুই ক্লাব মোহন বাগান ও মহমেডান স্পোর্টিংয়ের এই প্রতিযোগিতায় খেলবে অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে। দুর্গাপুজোর পরেই মহমেডান স্পোর্টিং গ্যাংটকে যাচ্ছে সিকিম গভর্নর্স গোল্ড কাপে খেলতে। ফাইনালে পৌঁছালেও তিনটির বেশি ম্যাচ সেখানে মহমেডানকে খেলতে হবে না।
ইস্ট বেঙ্গলের প্রধান কর্তা জানালেন,‘কোচের সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ। বাংলদেশি ফুটবল কর্তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কই আলাদা। শতবর্ষ বলেই শেখ জামাল ট্রফির কর্তাদের কাছ থেকে ইস্ট বেঙ্গলের আমন্ত্রণ ছিল আরও বেশি আন্তরিক।’
এদিকে, শনিবার লীগের ম্যাচে মহমেডান স্পোর্টিং নিজেদের মাঠে খেলবে কালীঘাট এম এসের বিরুদ্ধে। লীগে এখনও অপরাজিত সাদা-কালো ব্রিগেড এদিন দুই বিদেশি স্ট্রাইকারে খেলতে পারে বলে জানালেন দলের টিডি দীপেন্দু বিশ্বাস। আজ আর্থারের পাশে সদ্য সই করা জন চিডিকে নামাতে পারেন তিনি। সেই ক্ষেত্রে সাইড বেঞ্চে থাকবেন মুসা মেড্ডে। স্টপারে করিম ওমোলাজা যথারীতি থাকছেন।
মোহন বাগান ও মহমেডান স্পোর্টিংয়ের ম্যাচটি যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হতে পারে। কল্যাণীতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ইস্ট বেঙ্গল- মহমেডান স্পোর্টিং ম্যাচ। আইএফএ কর্তাদের সঙ্গে কল্যাণী স্টেডিয়ামের প্রশাসনিক প্রধান নীলিমেশ রায়চৌধুরির এমনই কথা হয়েছে। এতে মোহন বাগানের পাশপাশি বাকি দুই প্রধানও কল্যাণীর সবুজ মখমলের মতো মাঠে খেলার সুযোগ পাবে। ডার্বি থেকে আইএফএ’র সংগৃহীত অর্থ প্রায় ৫৫ লাখ। গত এক দশকে কোনও ডার্বি থেকে এই পরিমাণ অর্থ উপার্জন হয়নি।