জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরই ক্ষেপে উঠেছিল পাকিস্তান। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ফেরৎ পাঠানো থেকে শুরু করে সমস্তরকম ব্যবসায়িক সম্পর্ক বন্ধ করার পাশাপাশি একের পর এক হুমকিও দিয়ে চলছিল তাঁরা। ভারতীয় দ্রব্যও পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হয়ে পড়ে। এমনকি রাষ্ট্রসঙ্ঘেও ভারতের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছিল তাঁরা।
কিন্তু ভারত থেকে সমস্ত আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় এইমুহূর্তে চরম দুরবস্থার মুখে পড়েছে পাকিস্তানের একাধিক ক্ষেত্র। বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে পাকিস্তানের ওষুধ ক্ষেত্রও। তাই বাধ্য হয়ে নিজেদের মুখ একপ্রকার পুড়িয়েই ফের ভারতে তৈরি জীবনদায়ী ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল ইমরান খানের দেশ।
সোমবার পাকিস্তানের শিল্প দফতরের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুর পরপরই ভারতের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দেওয়ার কথা বলার পাশাপাশি ওষুধ ব্যবসায়ীদের এই বিষয়ে হুমকি নির্দেশ জারি করে ভারত থেকে ওষুধ আনা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কিন্তু দিনকয়েকের মধ্যেই তার প্রভাব বুঝতে পারেন ইমরান খান। দেশজুড়ে জীবনদায়ী ওষুধের চূড়ান্ত ঘাটতি দেখা দেয়। এমনকি হাসপাতালে বহু মানুষের প্রাণসংশয় পর্যন্ত শুরু হয়। অবশেষে বাধ্য হয়েই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসতে হল ইমরান খানের সরকারকে।