বহুদিন হল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে এখনও ক্রিকেটের মাঠ ছাড়েননি তিনি। যুবরাজ সিংয়ের ব্যস্ততা এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট নিয়ে। এখন যদি বিজেপি নেতাদের মুখে শোনা যায় ‘যুবরাজ সিং’ নামটি, তাহলে তো দেশবাসীর অবাক হওয়ারই কথা। হলও তাই। সম্প্রতি এই খবর রটে যায় যে, রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন যুবরাজ সিং। বিজেপি’র টিকিটে উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। যা দেখে অনেকেই ভাবছেন ক্রিকেটার যুবরাজই বুঝি এবার রাজনীতির ময়দানে।
আসলে তা নয়। এই যুবরাজ হলেন বিজেপিরই এক নেতা। ঘটনা হল, সোমবার রাতের দিকে ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে ঘোষণা করা হয় হামিরপুরের ঠাকুর বংশের যুবরাজ সিং আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবেন। এই আসনে ঠাকুর বংশের প্রার্থী দাঁড় করানোর পিছনে বিজেপির অন্য লক্ষ্য আছে বলে মনে করা হচ্ছে। অনুমান, হামিরপুরের উচ্চ বংশীয় রাজপুত ও ব্রাহ্মণদের ভোট টানতেই গেরুয়া শিবিরের এই পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত, সোমবার দেশের ৪ রাজ্যের চারটি কেন্দ্রের বিধানসভা উপ নির্বাচনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি।
উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে প্রার্থী ছাড়াও ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়ায় ওজাসভি মান্দভি, কেরালার পালা কেন্দ্রে হরি এন এবং ত্রিপুরার বদরঘাট কেন্দ্রে মিমি মজুমদারকে প্রার্থী করেছে পদ্ম শিবির। এছাড়া সমাজবাদী পার্টির দুই প্রাক্তন নেতা সুরেন্দ্র সিং নাগর এবং সঞ্জয় সেঠকে উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার উপ-নির্বাচনে প্রার্থী করেছে অমিত শাহের দল। গত মাসে মোদী সরকারের ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন এই দুই নেতা।