জগদ্দলে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়েই দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করেছে। এমনই সিসি টিভি ফুটেজ এসেছে পুলিশের হাতে। ওই ফুটেজ দেখে প্রহরারত সিআইএসএফের জওয়ানদের বিরুদ্ধেও মামলা করতে চলেছে পুলিশ।
জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে বাড়ি বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের। মজদুর ভবনে থাকেন তিনি। এমপির বাড়ি প্রহরার জন্য ২৪ ঘণ্টা সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে। এই মজদুর ভবনে নজরদারি চালানোর একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে রবিবার সকাল ১১টা ৪৭ মিনিটে মজদুর ভবন থেকে মুখে গামছা বেঁধে কয়েকজন দুষ্কৃতী বেরচ্ছে। একটা দুষ্কৃতীর হাতে প্লাস্টিকের প্যাকেট। দুষ্কৃতীরা রাস্তা পেরিয়ে ঢুকে পড়ে একটি গলিতে। মিনিট পাঁচেক পরেই একটু দূরে পরপর চারটি বোমা পড়ে। একটি বোমা তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনেও ফেলা হয়। বোমার ধোঁয়ায় ভরে যায় এলাকা। মিনিট পাঁচেক পর ওই দুষ্কৃতীরা মুখে গামছা অবস্থাতেই ফের ঢুকে পড়ে মজদুর ভবনে।
পুলিস জানিয়েছে, ভবনের সামনে প্রহরারত সিআইএসএফ জওয়ানরা দুষ্কৃতীদের বের হতে ও ঢুকতে দেখেন। তবে তাদের না দেখার ভান করে থাকে জওয়ানরা। ঘণ্টাখানেক পর দুটি চার চাকা গাড়ি আসে মজদুর ভবনের সামনে। কয়েকজন ওই দুটি গাড়ি থেকে নামে। কিছুক্ষণ পর আবার তারা দ্রুত গাড়িতে উঠে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে মজদুর ভবনের সামনে আসেন বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি (জোন-১) অজয় ঠাকুর। তাঁর সামনেও বোমাবাজি হয়।
এই প্রসঙ্গে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, ‘একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে এসেছে। ফুটেজ দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সেদিনের ঘটনায় পুলিশ অনেক সংযমী ছিল। মাথা ঠান্ডা রেখে পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে পুলিশ। পুলিশ কোনও প্ররোচনায় পা দেয়নি। এমন কোনও তথ্য-প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে না, যেখানে পুলিশের জন্য কেউ চোট-আঘাত পেয়েছে।