আরামবাগে এক তৃণমূল কর্মীকে নৃশংসভাবে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে। তাঁর মাথা, হাত-সহ সারা শরীরে গুরুতর চোট লেগেছে। বর্তমানে ওই তৃণমূল কর্মী আরামবাগের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে তৃণমূলের আরামবাগ ব্লক সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “আমাদের ওই কর্মীকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা নৃশংসভাবে মারধর করেছে। তাঁর সারা শরীরের বিভিন্ন জায়গার চামড়া উঠে গেছে। বিজেপি এতটাই অমানবিক কাজ করেছে যে নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। আমরা প্রশাসনকে বলেছি। দোষীরা যাতে উপযুক্ত শাস্তি পায়, তার দাবি জানিয়েছি”।
স্থানীয় ও তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্ত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম সৌমেন মিশ্র। তাঁর বাড়ি আরামবাগের সালেপুর–২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়ডোঙ্গল গ্রামে। তিনি সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপর হামলা চালানোর নানা রকম হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে তিনি বেশ কিছুদিন এলাকার বাইরে থাকছিলেন। বর্তমানে আরামবাগের একটি শ’মিলে কাজ করছিলেন। মাঝে মাঝে বাড়িতে যেতেন। রবিবার রাতেও তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এক ব্যক্তি বাইকে করে তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ওই বাইক আরোহী তাঁকে নামিয়ে দিয়ে চলে যান। অভিযোগ, তখনই একদল দুষ্কৃতী তঁাকে ধরে বেধড়ক মারধর শুরু করে। তাঁকে রাস্তার ওপর ফেলে মারধর করা হয়।
শুধু এটুকুতেই ক্ষান্ত হননি দুষ্কৃতীরা। তাঁকে মারধর করার পর, কাঁকর, পাথরে ভরা রাস্তার উপর দিয়ে কয়েকশো মিটার টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বন্দুকের বাঁট, লোহার রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হয়। তাঁর মাথায় গুরুতর চোট লাগে।