বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে মোদী সরকারের বাজেটে যেমন তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি, তেমন চাহিদার মানোন্নয়নেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেন্দ্র। এই দুই কারণেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ভারতের শিল্প সংস্থাগুলোকে। গাড়ি শিল্প থেকে বিস্কুট- সর্বত্রই বাজারে চাহিদা বাড়ন্ত। বিক্রি না হওয়ায় বন্ধ করতে হচ্ছে উৎপাদন। বস্ত্র এবং নির্মাণ শিল্পের অবস্থাও তথৈবচ। এরপরই দেখা যায় চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি নেমে গেছে ৫ শতাংশে। যা গত ছ’বছরে সবচেয়ে কম। পরের দু’মাসে যে সেই স্লথগতি আরও স্লথ হয়েছে তার ইঙ্গিত মিলছে জিএসটি আদায়ে। আগস্ট মাসে মোট জিএসটি আদায় চলতি অর্থবছরে দ্বিতীয়বার ১ লক্ষ কোটি টাকার গণ্ডির নীচে নামল।
প্রসঙ্গত, গত মাসে জিএসটি আদায় হয়েছে ৯৮,২০২ কোটি টাকা। এর আগে জুন মাসে ১ লক্ষ কোটি টাকার কম জিএসটি আদায় হয়েছিল। সেই মাসে আদায় হয়েছিল ৯৯,৯৩৯ কোটি টাকা। গত মাসে কর দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তাঁরা মোট ৩৭,৯৪৬ কোটি টাকা এবং চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ৬,৫২০ কোটি টাকা জিএসটি ফাঁকির হদিশ পেয়েছেন। সেই সঙ্গে রয়েছে পণ্য-পরিষেবা বিক্রির ভুয়ো ইনভয়েস দেখিয়ে জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার ঘটনাও। ফলে জিএসটি ফাঁকি দেওয়া ঘটনা ক্রমশ সরকারের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।