ব্যারাকপুর-জগদ্দলে হিংসার নায়ক অর্জুন সিংই। ওনার সমর্থকদের ছোঁড়া পাথরেই অর্জুন সিংয়ের মাথা ফেটেছে। পুলিশের নয়। কারণ, পুলিশ লাঠি মারলে গায়ে মারে, মাথায় মারে না। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে এভাবেই সরাসরি অর্জুনকেই ব্যারাকপুরের হিংসার জন্য দায়ী করলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং।
এই প্রসঙ্গে জ্ঞানবন্ত সিং বলেন, ‘“সকালে ফিডার রোডের গণ্ডগোলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অর্জুন সিং-এর ছেলে তথা ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিং। তারপর যা হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সবটাই অর্জুনের নেতৃত্বে’। পাশাপাশি ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ প্রশাসনের প্রশংসা করে জ্ঞানবন্ত বলেন, ‘পুলিশ যে ভাবে কাজ করেছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে। কোথাও দেখা যায়নি পুলিশ লাঠি চালাচ্ছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে দেখা গিয়েছে, কারা পুলিশের উপর পাথর ছুড়ছে।‘ এরপর হুঁশিয়ারি দিয়ে এডিজি আইনশৃঙ্খলা বলেন, “ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রেফতার করা হবে’।
সেই সঙ্গে রাজ্য পুলিশের অন্যতম শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘গত দেড় মাস ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। এর পুরো কৃতিত্ব পুলিশের। কিন্তু কাল সকালে একটা ছোট ঘটনা নিয়ে লোকজনকে ক্ষেপিয়েছেন অর্জুন সিং এবং তাঁর ছেলে। তাঁদের জন্যই নতুন করে হিংসার ঘটনা ঘটেছে’। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলেও জানিয়েছেন জ্ঞানবন্ত।
দীর্ঘ সাংবাদিক সম্মেলনে এডিজি এলও আরও বলেন, ‘ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার ভেবেছিলেন তিনি নিজে গিয়ে বললে অবরোধকারীরা উঠে যাবেন। কিন্তু তা তো হয়ইনি। সঙ্গে সঙ্গে ওরা বোমা ছুড়তে শুরু করে’। তাঁর দেওয়া হিসেব অনুযায়ী রবিবার তিনশোর মতো বোমা পড়েছে জগদ্দল এবং শ্যামনগরে। সোমবার বিজেপি-র ডাকে বনধ চলছে ব্যারাকপুরে। এ দিনও বেশ কিছু জায়গায় পুলিশ-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন বিজেপি কর্মী। যাঁদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তবে জ্ঞানবন্ত বলেন, ‘এ দিন ছোটখাট কিছু ঘটনা ঘটেছে। এমনিতে পরিস্থিতি পুলিশের আয়ত্তের মধ্যেই আছে’।