আগামী রবিবার কলকাতার রঙ হবে সবুজ-মেরুন বা লাল-হলুদ। আসন্ন ডার্বি ঘিরে তুমুল প্রস্তুতি কলকাতার দুই প্রধানেই। উত্তেজনা বাড়ছে সমর্থকদের মধ্যেও। দুই দলের কোচই অনুশীলনে কোনও খামতি রাখছেন না। খেলোয়াড়রাও দ্রুত শুধরে নিচ্ছেন নিজেদের ভুল-ত্রুটি।
মোহনবাগানের অন্যতম সেরা অস্ত্র হল ভিপি সুহের। সবুজ-মেরুনের স্প্যানিশ ভিড়ে এক উজ্জ্বল ভারতীয়।যার পায়ে ডার্বি জেতার স্বপ্ন দেখছে মোহনবাগান। রবিবার সুহেরকে পরিবর্ত হিসাবে নামাবেন নাকি শুরু থেকে খেলাবেন তা নিয়েই অঙ্ক কষছেন ভিকুনা। রবিবার গোল করতে মুখিয়ে আছেন তিনি। পারলে রবিবার রাতের পর থেকে বদলে যাবে কেরালার এক সাদাসিধে ছেলের জীবন।
কলকাতায় আসার পর ইস্ট বেঙ্গলের কোচ আলেহান্দ্রো কোনও ট্রফি না পেলেও লাল-হলুদ জনতার কাছে বেশ জনপ্রিয়। কারণ ডার্বিতে একশো শতাংশ সাফল্য। গত বছর তাঁর কোচিংয়ে ইস্ট বেঙ্গল আই লিগের দু’টি সাক্ষাৎকারেই হারিয়েছিল। প্রথমটি ইস্ট বেঙ্গল জিতেছিল ৩-২ গোলে। অপরটি ২-০ গোলে। এবার বড় ম্যাচে তিনি অপরাজিত থাকবেন কিনা তা অনেকটাই নির্ভর করছে কোলাডোর উপর। যদিও এই ব্যাপারটি নিয়ে কোলাডো সেভাবে ভাবতেই চাইছেন না। এই প্রসঙ্গ উঠলে তাঁর মুখে শোনা গেল টিমগেমের কথা।ডার্বিতে গত মরশুমে ইস্ট বেঙ্গল অপরাজিত। গত বছর কলকাতা লিগের ম্যাচটি ২-২ ড্র হয়েছিল। গত ২০ মাস ইস্ট বেঙ্গল ডার্বিতে হারেনি। আলেজান্দ্রোর অপরাজিত আখ্যা বজায় থাকে কিনা তা কোলাডোর পাশাপাশি নির্ভর করছে কাসিম আইদারার উপরেও। মরশুমের প্রথম চারটি ম্যাচে স্প্যানিশ কোচ সেনেগোলের এই ডিফেন্সিভ ব্লকারটিকে খেলাননি। ডুরান্ড সেমি-ফাইনাল থেকে কাসিম আইদারা নিয়মিত খেলেছেন। গোকুলামের মার্কাস জোশেফকে রুখতে কিছুটা সফল হন তিনি। শেষ তিনটি ম্যাচে টানা ভালো খেলেছেন আইদারা। রবিবারের ম্যাচে ভাগ্য নির্ধারণে তাই তাঁর বড় ভূমিকা থাকবে।তবে রবিবার ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম অস্ত্র বিদ্যাসাগর সিং। তাঁকে নিয়েও আক্রমণের ছক সাজাচ্ছেন আলেহান্দ্রো।