‘যাঁরা কাশ্মীরের সব সম্পদ লুট করেছেন তাঁদের খুন করা উচিত।’ এর আগে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্ক বাঁধিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। আবার এ কথাও বলেছেন যে, টেলিফোন না চলে ক্ষতি কী? মানুষ তো আর মরেনি! এর পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বাগবিতন্ডা চালিয়ে যাচ্ছেন সত্যপাল। এবার রাহুল সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষ ওঁদের জুতোপেটা করবেন।’ যা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে রাহুলের মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছে পাকিস্তান। তাঁকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রপুঞ্জে চিঠিও দিয়েছে তারা। বিষয়টি চোখে পড়তেই তড়িঘড়ি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন কংগ্রেস সাংসদ। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারের সঙ্গে যত বিরোধই থাক, কাশ্মীর যে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এ ব্যাপারে দ্বিমত নেই। কিন্তু তারপরেও শাসকদলের রোষ থেকে রক্ষা পাননি তিনি। অবিলম্বে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে ইতিমধ্যেই দাবি তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
আর তারপরই রাহুলকে বিঁধে সত্যপাল বলেন, নাবালকের মতো আচরণ করছেন রাহুল। উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল। সেখানে রাহুলের বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ওঁকে নিয়ে কোনও কথাই বলতে চাই না আমি। দেশের অন্যতম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান উনি। তা সত্ত্বেও নাবালক রাজনীতিকের মতো আচরণ করছেন। তাই রাষ্ট্রপুঞ্জকে দেওয়া চিঠিতে তাঁর মন্তব্য ব্যবহার করতে পেরেছে পাকিস্তান। এই ধরনের আচরণ করা একেবারেই উচিত হয়নি ওঁর।’
শিমলা চুক্তি ও লাহৌর চুক্তির পরেও জম্মু-কাশ্মীর কী করে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হল, সংসদে এই প্রশ্ন তোলায় এর আগে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। তা নিয়েও ফের কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সত্যপাল। বলেন, ‘লোকসভায় নিজেদের দলনেতার সঙ্গেও কথা বলা উচিত ছিল রাহুল গান্ধীর। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা করেনি ওরা। আমার বলা উচিত নয়, কিন্তু নির্বাচনের সময় এটাকেই ওদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করবে বিরোধীরা। মানুষ ওঁদের জুতোপেটা করবেন।’ এই মন্তব্যের পর আবারও নতুন করে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।