অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে আর্চারের ৯২ মাইল প্রতি ঘণ্টায় ধেয়ে আসা বলে আহত হয়েছিলেন স্টিভ স্মিথ। চোটের জেরে অজ্ঞানও হয়ে যান তিনি। ব্যবহৃত হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম কংকাশন সাব। এর পর এখনও পর্যন্ত আর মাঠে নামতে পারেননি তিনি। এর পর টেমস দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। বেন স্টোকসের মহাকাব্যিক ইনিংসে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছেন জো রুটরা। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন জোফ্রা।
ঘাতক সেই বাউন্সারের পর থেকে কোনও কথাই বলেননি এই তারকা খেলোয়াড়। তবে এবার সোজাসুজি জানিয়ে দিলেন, পরের টেস্টেও স্মিথকে স্বাগত জানাতে তৈরি থাকবে তাঁর বিধ্বংসী বাউন্সার। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালস দলের সতীর্থ স্মিথের সঙ্গে সিরিজের পরে সময় কাটাতে ইচ্ছুক হলেও সিরিজ চলাকালীন তাঁর প্রতি কোনও রকম আবেগ দেখাতে নারাজ আর্চার। তিনি বলেন, “ওই জায়গায় আঘাত লাগার আশঙ্কা খুবই কম থাকে। স্মিথের দুর্ভাগ্য যে বলটা হেলমেটে বা কাঁধে না লেগে ওই জায়গায় আঘাত করে। তবে আমি জিততে এসেছি। আমার অতিরিক্ত গতি যদি ওদের সমস্যায় ফেলে এবং মনে ভয় জাগায়, তা হলে তা আমার জন্যই লাভজনক।”
এই বছরেই ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার ছাড়পত্র পান বার্বাডোজ জাত এই পেসার। বিশ্বকাপ ফাইনালে সুপার ওভারে দুরন্ত বল করে দলকে প্রথমবারের জন্য বিশ্বকাপ জেতানো থেকে শুরু করে অ্যাশেজে পাঁচ উইকেট— অল্প কয়েক দিনের ব্যাবধানেই নায়ক হয়ে উঠছেন তিনি। এ বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে আর্চার বলেন, “গত কয়েক মাসেই সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অভিষেক ঘটেছে। এই সময়ের মধ্যে দল প্রচুর ম্যাচ জিতেছি। ব্যাক্তিগত দিক থেকেও আমি অনেক সাফল্য পেয়েছি যা এত অল্প সময়ে পাব বলে আমি কখনও আশা করিনি। এই সাফল্যে আমি উচ্ছ্বসিত।”