নয়াদিল্লীতে ১৪ই আগস্ট তখন বিজেপির সর্বভারতীয় সদর দফতরে পৌঁছে গিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সেরে বিজেপিতে যোগ দেবেন শোভন-বৈশাখী, সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁদের দলে স্বাগত জানানো হবে— এই আনুষ্ঠানিকতাটাই শুধু বাকি তখন। ঠিক সেই সময়েই হাজির হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শোভন-বৈশাখীর বেঁকে বসায় সেই যাত্রায় আর বিজেপিতে যোগ দেওয়া হয়নি রায়দীঘির বিধায়ক দেবশ্রী রায়ের। তবে আবারও বিজেপির দুয়ারে গেলেন দেবশ্রী। আর এবার একেবারে রাতের অন্ধকারে তিনি সটান হাজির হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাড়িতে। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি বলেই খবর।
জানা গেছে, বুধবার রাতে প্রায় ৪০ মিনিট অপেক্ষা করার পরও দেবশ্রীর সঙ্গে দেখা করেননি দিলীপ। অস্বস্তিতে পড়ে যাওয়ায় তাঁকে পত্রপাঠ বিদেয় করে দেন। তবে সূত্রের খবর, দিলীপের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তাঁর। উল্লেখ্য, বিজেপির সদর দফতরেও সেদিন এমন বিনা আমন্ত্রণেই হাজির হয়েছিলেন দেবশ্রী। কিন্তু তাঁর যোগদানের পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেন শোভন। এক সময় শোভনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তী কালে সে সম্পর্ক একেবারেই তলানিতে পৌঁছয়। তাই বিজেপি নেতৃত্বকে শোভন সেদিন সাফ জানিয়ে দেন, দেবশ্রীকে দলে নেওয়া হলে তিনি ও বৈশাখী যোগদান করবেন না। তবে এতেও যে হাল ছাড়েননি দেবশ্রী, তা স্পষ্ট রাতের অন্ধকারে তাঁর দিলীপের বাড়ি ছুটে যাওয়ার ঘটনায়।