একাকীত্ব বৃদ্ধ বয়েসে আরও বেশি করে গ্রাস করে। তখন মানুষ চায় আরও বেশি ভালোবাসা, মানুষের সঙ্গ। একমাত্র ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার পরেই সম্পর্কের বাঁধনাটা ক্রমে আলগা হতে থাকে। দৈনন্দিন ব্যস্ততায় বৃদ্ধ মা-বাবার প্রতি আর খেয়াল থাকত না ছেলের। বউমাও খোঁজ রাখতেন না শ্বশুর-শাশুড়ির। সংসারে যেন ক্রমে অপাংক্তেয় হয়ে পড়ছিলেন প্রবীণ সেই দম্পতি। দীর্ঘ পুঞ্জীভূত সেই অভিমান থেকেই আত্মহত্যা করেছেন বেঙ্গালুরুর এক প্রবীণ দম্পতি। তাঁদের সুইসাইড নোটে ছেলে-বউকে দুষে গিয়েছেন। লিখেছেন, ছেলের-বউমার ক্রমাগত তাচ্ছিল্যেই তাঁরা স্বামী-স্ত্রী মিলে চরম পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছেন।
বৃদ্ধ দম্পতির ছেলে-বউমা দু-জনেই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। আত্মহত্যার সময় দু-জনের কেউই বাড়িতে ছিলেন না। কর্মক্ষেত্র থেকে ছেলে বাড়িতে ফিরে দেখেন, মা-বাবা গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন। ছেলেই থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিশ এসে দেহদু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, স্বর্ণমূর্তি ও কৃষ্ণমূর্তি নামের এই প্রবীণ দম্পতি গিরিনগরের বাড়িতে শনিবার আত্মহত্যা করেন। তাঁদের ঘর থেকেই মিলেছে সুইসাইড নোট। স্বজন প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানান, পুত্র ও পুত্রবধূর আচরণে তাঁরা ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলেন। সেই ডিপ্রেশনই প্রবীণ দম্পতিকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য করে।