৩ জন অপরিচিত যুবকের হাতে বেধড়ক মার খেলেন দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। দুজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মন্টু গাজী নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের কলার বোন ভেঙেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুজনেরই চিকিৎসা চলছে বাইপাশ লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতারই কাছে গড়িয়া থানার নবগ্রাম এলাকায়। ঘটনার পর সেই রাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ ওই এলাকায় টহল দেয়। আজ সকাল থেকে গোটা এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মারধরের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত ১৭ই আগস্ট। সেদিন নবগ্রামের মদ ব্যবসায়ী কাজল দে’কে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পরদিন অর্থাৎ রবিবা্র তাঁকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন। এরপর কাজলের ঠাঁই হয় বারুইপুর সংশোধনাগারে। সোমবার সেখানেই কাজল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সেই ব্যক্তির। পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে গিয়ে দেখেন মৃতের গায়ে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন, শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় ব্যান্ডেজ করা আছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকেই গড়িয়া-নবগ্রামের রাস্তায় বসে অবরোধ, বিক্ষোভ শুরু করেন মৃতের আত্মীয়রা। মৃতের আত্মীয় পরিজনদের বক্তব্য, পুলিশি লক আপে শারীরিক নির্যাতনের জন্য কাজলের মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে শারীরিক অসুস্থতার জন্যই তিনি মারা যান। যদিও মারা যাওয়ার তিন দিন পরও পরিবারের সম্মতি না থাকায় পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাতে পারেননি হাসপাতালে।
এই কারণেই শুক্রবার রাত ৯ টা নাগাদ নরেন্দ্রপুর থানার একজন অফিসার, একজন কনস্টেবেল ও দুজন সিভিক ভলান্টিয়ার নবগ্রামে যান। দুই পুলিশ কর্মী মৃতের বাড়িতে গেলেও সিভিক ভলান্টিয়ার নাসির গাজী ও মন্টু গাজি রাস্তায় গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অভিযোগ সেই সময়েই তিন অপরিচিত যুবক একটি বাইকে করে এসে দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেধড়ক মারধর করেন এবং পুলিশের সেই সুমো গাড়ির কাঁচ ভেঙে গুড়িয়ে দেন। খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার বিশাল বাহিনী গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনার পরেই সেই ৩ দুষ্কৃতীর খোঁজে নেমেছে পুলিশ।