রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিল্পে বিনিয়োগ এবং শিল্পের উন্নতি নিয়ে সচেষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর ঐকান্তিক চেষ্টা যেমন রাজ্যের ধুঁকতে থাকা শিল্পক্ষেত্রগুলিতে নয়া প্রাণ সঞ্চার করেছে, তেমনি গড়ে উঠছে নানা শিল্পতালুকও। শিল্প ও ব্যবসায়ে আরও উৎসাহ দিতে এবার মমতার নির্দেশেই ফায়ার লাইসেন্স ফি কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য।
বেশ কয়েকজন শিল্পপতি ও বণিকসভার প্রতিনিধি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফায়ার লাইসেন্স ফি খুবই বেশি হওয়ায় তাঁদের অসুবিধার কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ওই ফি কমানোর দাবিও জানিয়েছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবং শিল্পে উৎসাহ দিতে এই ফি কমানোর জন্য অর্থ দফতরকে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক হয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পর্যালোচনা করে ফায়ার লাইসেন্স ফি কমিয়ে চূড়ান্ত ফি নির্ধারণ করা হবে।
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সাল থেকে প্রতি বর্গ মিটার ধরে ফায়ার লাইসেন্স ফি নেওয়া হতো। ২০০৭ সালে তা পরিবর্তন করা হয়। বর্গমিটারকে বদলে বর্গফুট করা হয়। প্রতি বর্গফুট ধরে ফায়ার লাইসেন্স ফি নেওয়া হবে বলে ঠিক হয়। তাতে যা ফি ছিল তার থেকে ১০.৬৮ গুণ বেড়ে যায়। এরপরই বণিকসভা ও শিল্পপতিদের প্রতিনিধিরা দমকল দফতরকে তাদের আপত্তির কথা জানানও। কিন্তু বিষয়টি তাদের অধীনে নয়, অর্থ দফতরই ফি পরিকাঠামো তৈরি করে বলে তাঁদের জানায় দমকল দফতর।
গত শুক্রবার বিভিন্ন শিল্পসংস্থার প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়কে ফায়ার লাইসেন্স ফি কাঠামো নিয়ে আপত্তির কথা জানান। কয়েকজন এ ব্যাপারে ক্ষোভও জানান। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেন, আমি শুনেছি, ফায়ার লাইসেন্স ফি খুব বেড়ে গিয়েছে। আমি বিষয়টি দেখছি। এরপরই তিনি অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এবং মুখ্যসচিব মলয় দে’কে বিষয়টি পর্যালোচনা করে সাত-দশদিনের মধ্যে ফি কমিয়ে নতুন ফি কাঠামো তৈরি করার নির্দেশ দেন। সেই মতো আলোচনা শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু তাঁদের দফতরের অফিসারদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, পুরনো করকাঠামো ফিরিয়ে আনা হবে। বর্গ ফুটের পরিবর্তে বর্গমিটার হিসেবে লাইসেন্স ফি নেওয়া হবে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে ফি’র পরিমাণ অনেকটা কমে যাবে। এই খবরে স্বভাবতই খুশির হাওয়া বণিকমহলে।