কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই জারি হয়েছে চরম কড়াকড়ি। আর তার জেরেই ধাক্কা লেগেছে বিয়ের মরশুমে। বাতিল হচ্ছে একের পর এক বিয়ের অনুষ্ঠান। স্থানীয় খবরের কাগজগুলোতে এখন অনুষ্ঠান বাতিলের খবরের রমরমা৷
সোমবার প্রকাশিত খবরের কাগজে অন্তত এরকম ২৫টি বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিলের খবর প্রকাশিত হয়েছে৷ কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল এবং কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর উপত্যকা দুর্গে পরিণত হয়েছে৷ এছাড়া ইন্টারনেট ও ফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷ আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে৷ বিয়ের অনুষ্ঠান অনেক দিন আগেই ঠিক হয়ে থাকে৷ অথচ এই কড়াকড়ির জন্য সেই সব অনুষ্ঠান মার খাচ্ছে৷ উপত্যকায় কড়াকড়ির জেরে এখন বিয়েতে ভাঁটা৷ অর্থাৎ কড়াকড়ির জেরে গাঁটছড়া বাঁধায় লাগাম পড়েছে৷
যেমন উপত্যকার বাসিন্দা ফৌজিয়া৷ আগামী মাসে তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু কড়াকড়ির জন্য অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিতে হয়েছে৷ স্বাভাবিকভাবে এতে হতাশ তিনি৷ বছর ২৭-এর এই যুবতী বলেন, ‘এটা আমার পরিবারে প্রথম বিয়ের অনুষ্ঠান৷ তাই হতাশ লাগছে৷ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে৷ তাই আর কোনও উপায় নেই৷ পিছিয়ে দিতে হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান’৷
বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই জাঁকজমক থেকে পিছিয়ে আসছেন৷ ছোট করে অনুষ্ঠান সারছেন৷ কাশ্মীরের জনজীবন এখনও স্বাভাবিক হয়নি৷ বন্ধ দোকানপাট৷ কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি বড় কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি৷ কিন্তু এখনও উপত্যকা ছন্দে ফেরেনি৷ এর প্রভাবে জনজীবন যে বিপর্যস্ত বলাই বাহুল্য৷ তাই বিয়েও অগত্যা কাটছাঁট করতে হচ্ছে৷