‘দিদিকে বলো’ নিয়ে মানুষের দ্বারে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। মিলছে ব্যাপক সাড়া। এবার এই কর্মসূচীতে শাখা সংগঠনগুলিকেও শামিল হতে হবে। কাজে নামাতে হবে মহিলাদেরও। রাজ্যের সব ব্লকে নিতে হবে এই কর্মসূচী।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কাঁথি দক্ষিণের মাজনা গ্রামের এক সংখ্যালঘু কর্মীর বাড়িতে রাতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘রাতে থাকার অনুভূতি আলাদা। তাঁদের বাড়িতে আমি খেয়েছি। খুব যত্ন নিয়ে রান্না করেছিলেন। তাঁদের আন্তরিকতা দেখে আমি অভিভূত। আমি আবার যাব।’ দল থেকে ৪–৫ জন বিশিষ্টদের নামের তালিকা পাঠানো হচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে বিধায়করা দেখা করছেন। নিজেদের খুশিমতো এই কর্মসূচি নেওয়া যাবে না বলে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবংয়ের বিধায়ক গীতারানিও ভুঁইয়াও রাতে থেকেছেন এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে।
গতকাল কলকাতায় বালিগঞ্জের বিধায়ক ও মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জনসংযোগ কর্মসূচীতে নামেন। সুইনহো স্ট্রিট, বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে গিয়ে জনসংযোগ করেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এলাকার কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখার্জি। মানুষের অভাব অভিযোগ শোনেন সুব্রত। অনেকেই তাঁকে বলেন, ‘এই কর্মসূচী চারিদিকে সাড়া ফেলে দিয়েছে। আমরা আমাদের কথা বলতে পারছি। নেতার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা হচ্ছে আমাদের। গোটা বাংলা জুড়ে দিদি উন্নয়ন করছেন। আমরাও তাতে শামিল হয়েছি।’ সুব্রত বলেন, ‘বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে আরও আমাকে যেতে হবে। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। দোকান, বাজারেও যাব। তাদের কথাও শুনব।’
এদিন বরো চেয়ারম্যান বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি নিজের ওয়ার্ডে জনসংযোগ করেছেন। ভিজিটিং কার্ড বিলি করেছেন। মমতার ছবি লাগানো স্টিকার দিয়েছেন। গেঞ্জি বিলি করা হয়েছে। দোকান–বাজারে গেছেন। তাদের বক্তব্য শুনেছেন। গোটা রাজ্য জুড়ে প্রতিদিন বিধায়করা নিজেদের কেন্দ্রে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে শামিল হচ্ছেন। কর্মীর বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করছেন। আবার কারও বাড়িতে রাতে থেকেই যাচ্ছেন।