শনিবাসরীয় দুপুরে এজবাস্টনে যখন তাঁর কাছে বাউন্ডারি লাইনে যাওয়ার নির্দেশ এল, তিনি ধরেই রেখেছিলেন গ্যালারি থেকে বিদ্রুপ আছড়ে পড়তে চলেছে তাঁর উপর। তাই সেই বিদ্রুপ সামলাতে পালটা হিসেবে নিজেকে প্রস্তুতও রেখেছিলেন স্যান্ডপেপার গেট কান্ডের অন্যতম চরিত্র ডেভিড ওয়ার্নার।
যেমনটা ভাবা তেমনি কাজ। ‘ওর হাতে স্যান্ডপেপার আছে…’ কাছাকাছি আসতেই ওয়ার্নারকে নিয়ে গ্যালারিতে গান বাঁধলেন ব্রিটিশ সমর্থকেরা। প্রথমটায় কেবল হাসিমুখে দর্শকদের তিরস্কারের সামনে নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু মাত্রা বাড়তেই এজবাস্টনের গ্যালারির কাছে আত্মসমর্পণ করলেন অজি ওপেনার। প্রথমে মুঠো খুলে হাত ঝেড়ে তারপর প্যান্টের পকেট ঝেড়ে গ্যালারিকে ওয়ার্নার আশ্বস্ত করেন যে তাঁর কাছে সত্যিই স্যান্ডপেপার (শিরীষ কাগজ) নেই। রসিকতার ছলে ওয়ার্নারের এই বিদ্রুপের জবাব মনে ধরে এজবাস্টনের গ্যালারির। করতালি দিয়ে অজি ওপেনারকে অভিবাদন জানান তারা। তবে বিদ্রুপের পর গ্যালারির মন জিতলেও কামব্যাক টেস্টে ব্যাট হাতে অজি সমর্থকদের দিল জিততে ব্যর্থ ওয়ার্নার।
প্রথম ইনিংসে ২ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৮ রানে ব্রডের শিকার হলেন বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। এরপর উসমান খোয়াজা ও স্টিভ স্মিথের ব্যাটে ধীরে ধীরে ইংল্যান্ডের রান ছাপিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু জুটিতে ৪৮ রান ওঠার পর ব্যক্তিগত ৪০ রানে স্টোকসের বলে উইকেটের পিছনে বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন খোয়াজা। ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৮ বলে ৪০ রান করে ফেরেন তিনি।