লোকসভা ভোটের আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল আগ্রাসী গেরুয়া শিবিরের সন্ত্রাস। তবে ভোট মিটলেও সন্ত্রাস অব্যাহত ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়ায়। হ্যাঁ, ভোট পরবর্তী হিংসার পরিবেশ যেন পিছুই ছাড়ছে না ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়া এলাকার। মাঝে মধ্যেই চলছে অবরোধ, ভাঙচুর, বোমাবাজি, মারপিটের মতো ঘটনা। আর এর জেরে ব্যাহত হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের দৈনিক জীবনযাত্রা। তবে এবার স্পষ্ট হয়ে গেল, ভাটপাড়ায় অশান্তির মূলে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। এমনটাই জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট। যা পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ব্যারাকপুরের সাংসদকে ডেকে ধমক দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অর্জুন যদিও নিজে সে কথা মানতে চাননি।
আইবি রিপোর্ট যেহেতু অত্যন্ত গোপনীয়, তাই সরকারি ভাবে তার সত্যতা যাচাইয়েরও অবকাশ নেই। তবে, দলীয় সূত্রের খবর, পুরো বিষয়টিতে অর্জুনের ওপর ক্ষুব্ধ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে, ভাটপাড়া-কাণ্ডে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছে। অর্জুনের জবাবি চিঠির খসড়া আবার নাকি তৈরি করে দিচ্ছেন বিজেপির এক প্রাক্তন সাংসদ। প্রসঙ্গত, বুধবার সকালেই অর্জুন সিংকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন মোদী। সূত্র জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী অর্জুনকে বলেছেন, এসব বন্ধ করতে হবে। দলে থেকে গুন্ডাগিরি চলবে না। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে অর্জুন বলেন, ‘ও কিছু না, নিছক আলাপ-পরিচয় করতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।’
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেও অশান্তি থামেনি, বরং কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপরই বোমা-গুলি ও খুনোখুনির ঘটনা নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার তরফে রিপোর্ট দেওয়া হয় নর্থ ব্লকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, গোয়েন্দা রিপোর্টে ভাটপাড়ায় লাগাতার অশান্তিতে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ও তাঁর অনুগামীদের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভাটপাড়ায় বোমা, বন্দুকের জোগান বেড়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের মদতে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। সব কিছুর পেছনে রয়েছেন দলেরই সাংসদ অর্জুন সিং। যার ফলে বেজায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।