ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে তৈরি হচ্ছে মাছের ভেড়ি। আর তার জেরেই সুন্দরবনের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। ম্যানগ্রোভের সংখ্যা কমছে, তার পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে জীব বৈচিত্র্য। সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালি হেড়োভাঙা বিদ্যাসাগর বিদ্যামন্দির স্কুলের মাঠে রাজ্যস্তরের বনমহোৎসবের অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে। চলবে আগামী ৭ দিন ধরে। এই বনমহোৎসবের অনুষ্ঠানে এসে বনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু ম্যানগ্রোভ কেটে ফিশারি তৈরির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিলেন। তিনি বলেন, “ম্যানগ্রোভ কেটে ফিশারির অভিযোগ পেলেই পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দিচ্ছি। শুধু নির্দেশ দেওয়াই নয়, প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ করার কথাও বলছি”।
এদিনের অনুষ্ঠানে ব্রাত্য, সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল ও বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর–সহ বন দফতরের আধিকারিকরা। এদিন অনুষ্ঠানে প্রতিটি শিশুর হাতে গাছের চারা বিলি করা হয়। রাজ্যের মন্ত্রীরা, সাংসদ, বিধায়ক ও বনাধিকারিকরা গাছ পুঁতে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্কুলপড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে গাছ লাগানোর জন্য আবেদন করা হয়।
এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই সাংসদ ও বিধায়ক মিলে মন্ত্রীর কাছে সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় নদীর পাড়ে ম্যানগ্রোভ কেটে অবৈধ ফিশারি তৈরি করা নিয়ে অভিযোগ করেন। এই ফিশারি তৈরি নিয়ে দু–পক্ষের সঙ্ঘর্ষ এবং গোলমালের কথাও তুলে ধরেন। তাদের অভিযোগ শোনার পর মন্ত্রী বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও রাজনৈতিক রং দেখা হবে না”। তিনি মঞ্চে থাকা বনাধিকারিককে ম্যানগ্রোভ কাটা দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সুন্দরবন এলাকায় ম্যানগ্রোভ কেটে ফিশারি তৈরি নতুন ঘটনা নয়। আগেও বিভিন্ন জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে। সাংসদ ও বিধায়ক দু’জনেই অভিযোগ করেছেন। প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তবে এক্ষেত্রে বন দফতর ও মৎস্য দফতরকে যৌথভাবে কাজ করতে বলেছি। যাতে কেউ দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে না পারে”।