লোকসভা নির্বাচনে কিছুটা আসন বৃদ্ধি পেতেই অত্যধিক বাড়বাড়ন্ত গেরুয়া শিবিরের। বহু মানুষকে ভয় দেখিয়ে নিজেদের দলে টেনেছিলেন তাঁরা। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই ভুল বুঝতে পারছেন, তাই ফের নিজেদের নিশ্চিন্ত আশ্রয় তৃণমূলেই ফিরছেন সকলে। ইতিমধ্যেই কাঁচরাপাড়া, হালিশহর-সহ বেশ কিছু পুরসভা ফের দখল নিয়েছে তৃণমূল। শনিবারই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের ৩ সদস্য বিজেপি ছেড়ে আবার ফিরে এসেছেন তৃণমূলে। আগামী সপ্তাহে আরও ৩ তৃণমূল সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসবেন বলে দাবি করলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অর্পিতা ঘোষ।
শনিবার বালুরঘাট সুবর্ণতট হল–এ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি–তে যাওয়া ৩ জন জেলা পরিষদ সদস্য অর্পিতার হাত ধরে তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। তাঁরা হলেন গৌরী মালি, ইরা রায় এবং পঞ্চানন বর্মন। জেলা পরিষদের মোট ১৮ জন সদস্যের মধ্যে বিজেপি–র হাতে এখন রয়েছেন ৭ জন সদস্য। বাকি ১১ জনই এখন তৃণমূলের সঙ্গে। আগামী সপ্তাহে আরও ৩ জন দলে ফিরে এলে জেলা পরিষদে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা হয়ে যাবে ১৪।
২৪ জুন দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র। সেই সূত্রেই দাবি করা হয়েছিল, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ তৃণমূলের হাত থেকে বিজেপি–র হাতে চলে এল। সেদিনই জেলা তৃণমূলের সভাপতি অর্পিতা দাবি করেছিলেন, যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের অনেকেই আবার দলে ফিরে আসবেন। আপাতত জেলা পরিষদের ৩ সদস্য বিজেপি ছেড়ে ফিরে আসায় অনেকটাই উজ্জীবিত তৃণমূল শিবির। গত ১১ জুলাই সভাধিপতি লিপিকা রায়–সহ ৬ সদস্যকে নিয়ে জেলা পরিষদে আসেন বিপ্লব। হিলির গৌরী মালি, কুশমন্ডির ইরা রায়, বালুরঘাটের পঞ্চানন বর্মন ও বিশ্বনাথ পাহানকে তখন দেখা যায়নি। তখনই জল্পনা তৈরি হয় জেলার রাজনীতিতে। সেই গৌরী, ইরা এবং পঞ্চাননই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন। বিশ্বনাথও নাকি দ্রুত ফিরবেন। ফের তৃণমূলে যোগ দিয়ে ওই তিন সদস্য বলেন, ‘নানা কারণে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি–তে যোগ দিয়েছিলাম। পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছি।’ গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রর ভূমিকা নিয়েও দলের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। অর্পিতা জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যানকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।