গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলো উত্তরাখন্ডের বিখ্যাত লছমন ঝুলা। এই ঝুলন্ত সেতুর স্বাস্থ্য বিশেষ সুবিধার নয়৷ তাই প্রশাসনিক নির্দেশে আপাতত উত্তরাখন্ডের এই সুবিখ্যাত দর্শনীয় ঝুলা বন্ধ করে দেওয়া হল৷ আপাতত এই সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন না কেউই৷ আর প্রশাসনের নির্দেশ কার্যকর হতেই হতাশ পর্যটকরা৷
গঙ্গার উপর ঝুলন্ত লছমন ঝুলার মাহাত্ম্য তো বটেই, জনপ্রিয়তাও তুমুল। কথিত রয়েছে, যেখানে সেতুটি রয়েছে ঠিক সেখান দিয়েই রামের ভাই লক্ষ্মণ গঙ্গা পার করেছিলেন। সেই অনুযায়ী ১৯২৩ সালে গঙ্গার উপর লক্ষ্মণ ঝুলা তৈরি করা হয়েছিল। উত্তরাখন্ডের তেহরি জেলার দুটি গ্রামের মধ্যে সেতুবন্ধন করে লক্ষণ ঝুলা৷ গঙ্গার উপরে থাকা লম্বা এই সেতু দিয়ে ৯৬ বছর ধরে অগণিত পুণ্যার্থী, পর্যটক যাতায়াত করেছেন।
ঋষিকেশের সঙ্গে লছমন ঝুলা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত৷ বেশিরভাগ মানুষ পুণ্যের আশায় লছমন ঝুলায় যান৷ হিন্দু তীর্থস্থানগুলির অন্যতম এই ঝুলা। তার নিচ দিয়ে বয়ে গেছে স্রোতস্বিনী গঙ্গা। তাই হরিদ্বারে বেড়াতে এলে লছমন ঝুলা দেখেন না এমন মানুষ খুব কমই রয়েছেন৷ বিশেষজ্ঞদের নির্দেশে সেই ঐতিহ্যবাহী সেতুই আপাতত বন্ধ থাকবে৷ শুক্রবার থেকেই কার্যকরী নির্দেশিকা৷
বিশেষজ্ঞরা লছমন ঝুলার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন৷ শোনা যাচ্ছে, তাতেই ফেল করেছে লছমন ঝুলা৷ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, লছমন ঝুলার অবস্থা এত খারাপ যে তা সাধারণ মানুষের হেঁটে যাওয়ার জন্য নিরাপদ নয়৷ এই ঝুলা রীতিমতো ভার বহনে অক্ষম। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষতি হতে পারে সাধারণ মানুষের৷ তাই দুর্ঘটনা রুখতে আগাম বন্দোবস্ত নেওয়া হয়েছে৷ খুব শীঘ্রই মেরামতির কাজ শুরু হবে বলেও জানানো হয়েছে৷ আপাতত আবার নতুন করে লছমন ঝুলা খোলার আশায় দিন গুনছেন পর্যটকরা।