বছর খানেক ধরেই হুগলির চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল সহ বিভিন্ন এলাকায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব অব্যাহত। গত কয়েকমাসে এই সমস্ত অঞ্চলে বেশ কয়েকজন নেতা ও দুষ্কৃতী খুন হয়েছে। তাই এবার দুষ্কৃতী দমন করতে ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু সেটা করতে গিয়েও গুলি চালিয়ে জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন পুলিশকর্মীরা।
শুক্রবার রাতে পুলিশের গুলি চালানোর প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকেই বনধ চলছে চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরে। এর উপর এদিন সকালে টায়ার পুড়িয়ে, আগুন জ্বালিয়ে জিটি রোড অবরোধ করে রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দারা। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশ কর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। তারপর কমিশনারেট হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী অবরোধ তুলতে গেলে জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু করে এলাকাবাসী। সবমিলিয়ে, শনিবার সকালে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর এলাকা।
শনিবার সকাল থেকে রবীন্দ্রনগর এলাকায় ১২ ঘন্টা বনধের ডাক দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই বনধে এলাকার প্রায় সমস্ত মানুষই সামিল হয়েছে। সকাল থেকেই এলাকার সমস্ত বাজার-দোকান বন্ধ। যান চলাচলও খুব কম। যদিও শান্তিপূর্ণভাবে বনধ পালিত হয়নি। পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে এদিন সকালে বিরাট মিছিল করে রবীন্দ্রনগরের সাধারণ মানুষ। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, জিটি অবরোধ করে বিক্ষোভেও সামিল হয়। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলেই এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যদিও আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। তবে এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে হুগলির জেলা সদরের আইন-শৃঙ্খলা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ চন্দননগর কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার যশপ্রীত সিংয়ের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী দুষ্কৃতীদের ধরতে রবীন্দ্রনগরে অভিযান চালায় এবং শূন্য গুলি চালায়। এই ঘটনায় এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যদিও গুলি চালানোর ব্যাপারে পুলিশের সাফাই, কয়েকজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করতেই এলাকার মানুষ পুলিশকর্মীদের হাত থেকে তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য টানা-হ্যাঁচড়া শুরু করে।