ভয় দেখিয়ে, বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করিয়ে বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের গেরুয়া শিবিরে টানা হচ্ছে, লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরই বাংলা-সহ বিভিন্ন রাজ্যে এই অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এবার একই ঘটনা ঘটল কর্ণাটকেও। হুমকি দিয়ে বিধায়ক ভাঙিয়ে নিচ্ছে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী এবং কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুণ্ডু রাও।
প্রসঙ্গত, গত একবছর ধরে কর্ণাটকে কংগ্রেস এবং জেডি(এস)-র জোট সরকার চলছে। একক বৃহত্তম হলেও সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। সেই কারণে অধরা থেকে গিয়েছিল সরকার গঠন। আর সেই সুযোগেই যুযুধান দুই বিজেপি-বিরোধী দল জোট গঠন করে। তবে জোট সরকার গঠনের সূচনালগ্ন থেকেই চলছিল জটিলতা। বিজেপি যাতে বিধায়ক ভাঙাতে না পারে সেই কারণে বিধায়কদের শপথের আগেই সরিয়ে রাখা হয়েছিল। সরকার গঠনের পরেও বিভিন্ন সময়ে শাসকপক্ষের বিধায়ক নিখোঁজ হওয়া বা বিজেপির ‘হর্স ট্রেডিংয়ের’ চেষ্টায় সরকার ভেঙে যাওয়ার জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে সব ঝড় সামাল দিতে সক্ষম হয়েছিল জোট সরকার।
কিন্তু সম্প্রতি কংগ্রেসের দুই বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। তাঁরা হলেন- আনন্দ সিং এবং রমেশ জারকিহোলি। যদিও এই দুই বিধায়কের পদত্যাগের কারণে সরকার পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হবে না বলে দাবি করেছেন রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুণ্ডু রাও। তিনি বলেন, ‘এক জোড়া বিধায়ক সরে যাচ্ছেন। কিন্তু এতে সরকার ভাঙবে না।’ যদিও ওই বিধায়কদ্বয়ের পদত্যাগের পিছেন বিরোধী বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। রাওয়ের অভিযোগ, ‘বিধায়কেরা পদত্যাগ করেছেন কারণ তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। দুই বিধায়ককে কালো হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং টাকার লোভ দেখানো হয়েছে।’ তবে দীনেশ গুন্টু রাওয়ের এই অভিযোগের পর কোনও উত্তর আসেনি গেরুয়া শিবিরের তরফে। মুখে কুলুপ এঁটেছেন রাজ্যের বিজেপি নেতারা।