গত বছর ২১ জুন গোপীবল্লভপুরের তপসিয়ায় উদ্বোধন হয়েছিল কন্যাশ্রী লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরিই জঙ্গলমহলের ছাত্রীদের গৃহশিক্ষক ও সহায়ক বইয়ের অভাব মেটাচ্ছে। গত এক বছরের মধ্যে লাইব্রেরির সদস্য সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। গোপীবল্লভপুর ২ ব্লকের তৎকালীন বিডিও কৌশিক ঘোষের মস্তিক প্রসূত কন্যাশ্রী মঞ্চের একটা অংশে তৈরি করা হয়েছিল কন্যাশ্রী লাইব্রেরি। আহ্বায়ক করা হয়েছিল বেলিয়াবেড়া কেসিএম হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুব্রত মহাপাত্রকে। তিনি বলেন, “তখন বিডিও সাহেব বলেছিলেন, এমন একটা কাজ করতে যা এলাকার ল্যান্ডমার্ক হিসেবে থেকে যাবে। ইউনিকও হবে। তখনই বিডিও সাহেবকে এই প্রস্তাব দিই”।
লাইব্রেরিয়ান মৌমিতা মহাপাত্র বলেন, “পাঠ্য পুস্তকের পাশাপাশি সহায়ক বই, কুইজ-গল্প-নাটক-কর্মসংস্থান বিষয়ক বিভিন্ন গ্রন্থ এবং জঙ্গলমহলের লেখকদের সমাজ-সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে লেখা গ্রন্থ মিলে প্রায় ১ হাজার বই রয়েছে”। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীরাই এর সদস্য পদের যোগ্য। ফর্মফিলাপ ও পরিচয় পত্রের খরচ বাবদ ৮০ টাকা নেওয়া হয়। আর কোনও টাকা লাগে না। আপাতত স্কুল স্তর পর্যন্ত থাকলেও পরে কলেজের পড়ুয়াদের জন্য বই রাখার ভাবনা চিন্তা রয়েছে।
একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মোনালিসা দাস বলেন, “গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার সময় এই লাইব্রেরি থেকে অনেক সহায়ক বই পেয়ে উপকার পেয়েছিলাম। পরিবারের পক্ষে নানা লেখকের সহায়ক বই কিনে দেওয়া সম্ভব ছিল না”। এই প্রসঙ্গে বিডিও জিশান খান বলেন, “কন্যাশ্রী লাইব্রেরিটির পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য রাজ্য সরকার ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। ওই টাকা দিয়ে নতুন বিল্ডিং তৈরি করা হবে। বই, কম্পিউটার, চেয়ার, টেবিল, প্রোজেক্টার ইত্যাদি কেনা হবে”।