মঙ্গলবার সকাল থেকেই চেনা ছন্দে ফিরল হাসপাতালগুলি। এসএসকেএম, আরজি কর, এনআরএস সর্বত্র খুশির হাওয়া এখন। জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন তুলে নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিল চিকিৎসা। সেই স্বাভাবিকতার ছবি ধরা পড়ল কলকাতার হাসপাতালগুলিতে। খুলেছে বহির্বিভাগ। খুলেছে জরুরি বিভাগ।
শহর–শহরতলি থেকে রোগীরা আসছেন। সকাল থেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে টিকিটের লাইন পড়েছে। যেসব জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন করেছিলেন, এদিন সকাল থেকেই তাঁরা জানপ্রাণ লড়িয়ে কাজ শুরু করছেন। রোগীদের যে কোনও সমস্যায় এগিয়ে আসছেন তাঁরা। আর তাতেই চিকিৎসকদের পরিষেবায় খুশি রোগীরাও। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠকের পরই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। এনআরএস হাসপাতালের অধ্যক্ষ শৈবাল মুখার্জি জানান, আন্দোলন উঠে গিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে পরিষেবা শুরু হয়েছে। জরুরি পরিষেবা এবং বহির্বিভাগ খুলেছে।
শুধু কলকাতা নয়। চেনা ছন্দে ফিরেছে জেলার হাসপাতালগুলিও। প্রতিটি হাসপাতালেই আত্মীয়দের নিয়ে রোগীর পরিবারেরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা সকাল থেকেই সক্রিয় ভূমিকায় থাকায় খুশির হাওয়া বইছে কলকাতা–সহ জেলার হাসপাতালগুলিতে। এটাই দেখতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। হলও তাই।