লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন এই অভিযোগ উঠেছিল যে আরএসএসের সমর্থনে ভোটে লড়ছেন অধীর চৌধুরী। অন্যদিকে, অধীরও জানিয়েছিলেন যে প্রয়োজন পড়লে মোদীর কাছেও যাবেন তিনি। আবার অধীরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গিয়েছিল বহরমপুরের বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণ জোয়ারদার আর্যকেও। যার ফলে আরও প্রকাশ্যে এসে গিয়েছিল অধীর-বিজেপি সমীকরণ। তবে এবার অধীর-বন্দনায় মেতে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। এবং তা সর্বসমক্ষেই। ‘এই হলেন আসল যোদ্ধা’- তিন-চারবার বাংলার কংগ্রেস সাংসদের পিঠ চাপড়ে প্রকাশ্যে এমনটাই বলেন মোদী৷
প্রসঙ্গত, সোমবার লোকসভার বাদল অধিবেশন শুরুর আগে রবিবারে সর্বদলের বৈঠকে কংগ্রেসের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বংলার সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও কেরলের সাংসদ কে সুরেশ৷ বৈঠকের শেষ লগ্নে তিন-চারবার অধীরের পিঠ চাপড়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই হলেন আসল যোদ্ধা।’ এর ফলে আবারও নতুন করে অধীর-বিজেপি গোপন আঁতাত নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এবং এর থেকে এ কথাও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, এবারের লোকসভা ভোটে পরোক্ষভাবে গেরুয়া শিবিরের সমর্থনেই জয়ী হতে পেরেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, এবার ভোট প্রচারের ফাঁকে বিজেপির প্রার্থী থাকা কৃষ্ণ জোয়ারদার বলেছিলেন, ‘অধীরদাকে আমি দাদা বলে মনে করি।’ শুধু তাই নয়। তিনি এ-ও বলেছিলেন, ‘অধীরদা দল নির্বাচনে ভুল করেছেন। একটা ফুটো নৌকায় (কংগ্রেস) চেপে আছেন তিনি। বিজেপি ছিল ওঁর পক্ষে উপযুক্ত দল। আজ যদি বিজেপিতে থাকতেন, বহরমপুরকে ওয়াশিংটন করতে পারতেন উনি।’ সেসময় এই মন্তব্যের পরই উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। এবার মোদীর থেকে তাঁর দরাজ সার্টিফিকেট পাওয়াকে তাই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কেউ কেউ এমনও বলছেন যে, কংগ্রেসের ভরাডুবি দেখে খুব শীঘ্রই গেরুয়া শিবিরের দিকে পা বাড়াতে চলেছেন বহরমপুরের ‘রবিন হুড’।