বারবার জঙ্গী হামলায় কেঁপে উঠছে উপত্যকা। আর একই জায়গায় বারবার হচ্ছে হামলা। সেই অনন্তনাগ। যেখানে ১৪ ফেব্রুয়ারি রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল। গত ১২ জুন এই অনন্তনাগেই জঙ্গীদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল দুই সেনা অফিসার-সহ পাঁচ সিআরপিএফ জওয়ানের। আর আবারও জঙ্গীদের গুলি চলল দক্ষিণ কাশ্মীরের সেই অনন্তনাগে।
সোমবার জঙ্গীদের সঙ্গে দফায় দফায় গুলি বিনিময় হলো সেনাবাহিনীর। সংঘর্ষে শহিদ হলেন আর্মি মেজর। গুরুতর জখম আরও তিন জওয়ান। সেনা সূত্রে খবর, জঙ্গীদের সঙ্গে গুলি বিনিময় চলছে। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল সেনাবাহিনী। অনন্তনাগের আচাবল এলাকা গুলির শুরু হয় সোমবার দুপুর নাগাদ। জঙ্গীদের গোপন ডেরার খোঁজে এলাকা ঘিরে ফেলে সেনা-পুলিশ যৌথ বাহিনী। শুরু হয় এনকাউন্টার। নিজেদের গোপন আস্তানা থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনারাও। সূত্রের খবর, জঙ্গীদের গুলিতে মারাত্মক ভাবে জখম হন আর্মি মেজর। সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও তিন জওয়ান।
পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী জইশ হামলার পর থেকেই লাগাতার এনকাউন্টার চলছে উপত্যকায়। চলতি মাসেই পুলওয়ামা থেকে সোপিয়ান, সোপোর, অনন্তনাগে একাধিক বার জঙ্গীদের সঙ্গে গুলির লড়াই লড়েছে। দিন কয়েক আগে অবন্তীপোরায় সেনার গুলিতে খতম হয় দুই জঙ্গী। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গোটা উপত্যকায় শান্তি ভঙ্গ করার জন্য দফায় দফায় নাশকতা চালানোর চেষ্টা করছে জঙ্গিরা। জইশ, হিজবুলের তো রয়েছেই, পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গী সংগঠন থেকেও মদত আসছে উপত্যকার জঙ্গী গোষ্ঠীগুলির কাছে। এমনকি পুলওয়ামাতে ফের বড়সড় নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে জঙ্গীদের।
যদিও গোয়েন্দাদের ধারণা, আল উমর মুজাহিদিনকে সামনে রেখে এই নাশকতার কলকাঠি নেড়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। এত কিছুর পরেও একই জায়গায় বারবার হামলার ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা নেই বিশেষজ্ঞদের কাছে। এই নির্বাচনে এই ‘সেনা’ ও ‘সেনা সুরক্ষা’-র মতো ইস্যু বড় হয়ে উঠেছিল। অনেকের ধারণা এই ইস্যুর ওপর ভর করেই দ্বিতীয়বার দিল্লীর মসনদে ফিরেছেন মোদী। কিন্তু তারপরও লাগাতার এই হামলায় প্রশ্ন উঠছে সরকারের ভূমিকা নিয়ে? কেন এখনও পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিতে পাচ্ছে না সরকার? আর কত জওয়ানয়ের মৃত্যুর পর শান্তি আসবে তাই নিয়েই ভাবিত দেশবাসী।