ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র ও ভাটপাড়া বিধানসভা উপ-নির্বাচনে বিজেপির ত্রাস ও সন্ত্রাসের আবহের মধ্যে দিয়ে নিজেদের দখলে করেছে। আর এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে এই অঞ্চলে। মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু তৃণমূলে থেকে দলবিরোধী কাজ করার অপরাধে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে তিনি তৎক্ষণাৎ বাবার পথে হেঁটে গেরুয়া বাহিনীতে নাম লেখায়। তারপর থেকেই ওই অঞ্চলে শুরু গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব।
শুক্রবার রাতে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর গোলমালে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় কাঁচরাপাড়া কলেজ মোড় এলাকায়। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের খাস তালুকে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে যারা মার খেয়েছেন, তাঁরা মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুর অনুগামী হিসেবেই পরিচিত। আক্রান্তরা সে কথা স্বীকার করে নিয়ে হামলাকারীদের বিজেপি কর্মী বলেই চিহ্নিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁচরাপাড়া কলেজ মোড়ের কাছে একটি ক্লাবের দখলদারি ঘিরেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। ক্লাবটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বিধায়ক শুভ্রাংশু অনুগামীদের দখলে ছিল। দিন কয়েক আগে শুভ্রাংশুর দল বদলের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরাও গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। ক্লাবেরই সদস্য পিণ্টু কুণ্ডু, অভিজিৎ কুণ্ডুদের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধের পর ৫-৬ জন মিলে ক্লাবের সামনে বসে গল্প করছিলেন। আচমকাই ৬টি মোটর বাইকে প্রায় ১৬ জন এসে তাঁদের উপর চড়াও হয়। তাঁদের এলোপাথাড়ি মারধরের পাশাপাশি রড ও বাঁশ দিয়েও মারা হয় বলে অভিযোগ। মারের চোটে পিণ্টুর মাথা ফাটে এবং অভিজিতের কপাল ফাটে। আক্রান্তরা জানান, হামলাকারীরা প্রত্যেকেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা যে ক্লাবটি দীর্ঘদিন ধরে দেখভাল করে আসছেন সেটি দখল করার জন্য বারবার চাপ আসছিল।
ওই অঞ্চলের একাংশের মতে সদ্য গেরুয়াতে যাওয়া শুভ্রাংশুকে অনেকেই ভালো চোখে দেখছে না। তাই ওই অঞ্চলে গেরুয়া শিবিরে থাকা কর্মীরা রাগে ফুঁসতে থাকেন। মুকুলের ছেলে হওয়ায় দলে যে অভিকার শুভ্রাংশু পাচ্ছে তাতে খুশি নন অনেক পুরোনো বিজেপি সমর্থকরা।