বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ জানিয়ে এবার থানায় গিয়ে ধর্ণায় বসলেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের দিনহাটায়। সেখানকার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর অভিযোগ, “ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই দিনহাটা মহকুমায় সন্ত্রাস চালাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা।” বিধায়কের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন দিনহাটা মহকুমার পুলিশ আধিকারিকরা।
লোকসভা ভোটে হেরে কোচবিহারে বিপাকে তৃণমূল কংগ্রেস। জেলার একমাত্র আসনে জিতেছে বিজেপি। ফলপ্রকাশের পর থেকে কোচবিহারের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীদের হাতে তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। দলের বেশ কয়েকটি পার্টি অফিসও দখল হয়ে গিয়েছে। সেখানকার এক তৃণমূল কর্মীর দাবি, “বিজেপির সন্ত্রাসের কারণে নির্বাচনী এলাকায় ঢুকতে পারছেন না দলের ৪ জন বিধায়ক। কার্যত আত্মগোপন করে রয়েছে তাঁরা। এমনকী, তাঁদের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।”
দিনকয়েক আগে নাটাবাড়িতে দলের পার্টি অফিস উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন এলাকার বিধায়ক ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এলাকায় মিটিং-মিছিল না করার হুমকি দিয়ে চিঠি এসেছে মেখলিগঞ্জের বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধানের বাড়িতে। যার ফলে রীতিমতো আতঙ্কিত সেই অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষপর্যন্ত থানায় ধর্ণায় বসলেন দিনহাটার এই তৃণমূল বিধায়ক।
শনিবার অনুগামীদের নিয়ে দিনহাটার সাহেবগঞ্জ থানায় ধর্ণায় বসে পড়েন এলাকার বিধায়ক উদয়ন গুহ। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের শাসকদলের বিধায়কই। তাঁর দাবি, “দিনহাটায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপির দুষ্কৃতীরা। অথচ পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”