অবশেষে বরফ গলল। শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার কথা নবান্নে গিয়ে নিজেরাই জানিয়ে এলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের এক অংশ।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যারা এখন কাজ শুরু করতে চায় তারা কাজ শুরু করুক। এভাবে একজন দুজন কাজে ফিরলেই দেখবেন সবার বাঁধ ভেঙে যাবে। আমরা কারও বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করব না। কারণ ওরা সবাই ছোট। ছাত্র, পড়াশোনা করছে। ওদের সবার জীবন পড়ে আছে। চিকিৎসকদের পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।’
নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০ তারিখ একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল। তারপর আমরা সরকারের তরফে সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছি। পাঁচজনকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে এত কড়া মামলা রুজু করা হয়েছে যে আদালত জামিন নাকচ করে দিয়েছে। আমরা পরদিন থেকেই আমরা চেষ্টা করছি সমাধানের।
বিদ্যাসাগরের মূর্তিস্থাপনের অনুষ্ঠানের দিনই স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং সিপি অনুজ শর্মাকে পাঠিয়েছিলাম। তখন ওরা আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চায়নি। সেটা ওদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তারপরও আমরা চেষ্টা করে গিয়েছি সমাধান খোঁজার। আমি আবেদন করেছি সব মেডিক্যাল ফ্র্যাটারনিটিকে কাজে যোগ দিতে। সরকার কারও সঙ্গে নেতিবাচক আচরণ করেনি। এর আগে প্রায় ১০টা রাজ্যে এসমা জারি করেছিল জরুরি পরিষেবা চালু করতে। আমরা গণতন্ত্রের স্বার্থে এটা করিনি।’