লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই দলবদলের হিড়িক লেগেছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। নির্বাচনের পরেও বদলায়নি দলবদলের চিত্রনাট্য৷ ভোটের পর তৃণমূল ছেড়ে বহু নেতাই নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে৷ যেই কারণে বীজপুরের কর্মিসভায় গিয়ে দলত্যাগীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার দলনেত্রীর দেখানো পথেই হাঁটলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যাঁরা ক্ষমতালোভী, তাঁদের নিয়ে দল চিন্তিত নয় বলেই সাফ জানিয়ে দিলেন নদিয়া জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক৷ বরং তিনি বললেন, “এই দলত্যাগই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুদ্ধিকরণের একমাত্র পন্থা।” বুথস্তরের দলীয় বৈঠকে সেকথাই বুঝিয়ে দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷
লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্য থেকে ১৮টি আসন দখল করে নিয়েছে বিজেপি৷ আশানুরূপ ফল হয়নি তৃণমূলের৷ তাই বুথস্তরে সংগঠনে নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁরই নির্দেশে শনিবার নদিয়ায় কর্মিসভার আয়োজন করা হয়৷ তাতেই উপস্থিত ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মূলত কীভাবে বুথস্তরে সংগঠনকে আরও মজবুত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
দলীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, ‘‘যারা লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারে না, অপেক্ষা করে কবে, কখন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে কে ছিটকে যাবে, তাঁকে প্রার্থী করবে৷ তাঁরা এখনও অপেক্ষা করছে কে, কখন তৃণমূল ছেড়ে বেরোবে৷ আমি আবার বলছি ভারতীয় জনতা পার্টি হচ্ছে ভারতীয় জঞ্জাল পার্টি৷’’
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনই এখন লক্ষ্য ঘাসফুল শিবিরের৷ তার আগে এদিনের বৈঠকে কর্মীদের কোমর বেঁধে তৈরি হওয়ার কথা বলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার মাধ্যমে দলের জন্য কাজ করার বার্তাও দেন তিনি৷ এছাড়াও যেকোনো মুহূর্তে দলের স্বার্থে তাঁকে মেল অথবা চিঠি লিখে সমস্যা নিয়ে আলোচনার কথাও বলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷