গত ৩০ মে নতুন মন্ত্রীসভা শপথের দিনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল যে, জেডিইউ-এর সাথে বিজেপির সম্পর্কের রাশ ক্রমশ আলগা হচ্ছে৷ ক্রমশঃ তা স্পষ্ট হতে থাকে৷ শেষমেশ রবিবারই এনডিএ শরিক জেডিইউ জানিয়ে দেয় বিহারের বাইরে তারা এনডিএ জোটের শরিক নয়৷ যা শাসক দল বিজেপিকে বার্তা বলেই মনে করছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ কিন্তু গতকালই বিহারে বিজেপির তরফে রীতিমতাে স্লোগান উঠল, ‘আগলা মুখ্যমন্ত্রী কেইসা হো/ গিরিরাজ সিং যেইসা হো’। ফলে বিহারে জেডিইউ-বিজেপি জোটের চিড় আরও প্রকট হয়ে উঠল।
প্রসঙ্গত, ভোটে জেতার পর রবিবারই প্রথম বেগুসরাই কেন্দ্রে যান গিরিরাজ। সেখানেই সমর্থকরা স্লোগান তোলেন, ‘আগলা মুখ্যমন্ত্রী কেইসা হো/ গিরিরাজ সিং যেইসা হো’। সামনের বছরেই বিহারে বিধানসভা ভোট। তার আগে একক ভাবে বিহার দখলের লক্ষ্যে কি তৈরি হচ্ছে বিজেপি? গতকালের ঘটনা এই প্রশ্নই তুলে দিল। প্রসঙ্গত, ইফতার পার্টি নিয়ে নীতীশ কুমার কে কটাক্ষ করেছেন গিরিরাজ। শেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিরিরাজ কে সতর্ক করেন খােদ অমিত শাহ। নীতীশ বলেছিলেন, যারা এ ধরনের মন্তব্য করেন, আসলে তাদের কোনো ধর্মই নেই।
উল্লেখ্য, গতকাল পাটনায় বসেছিল জেডিইউ-এর জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠক। ছিলেন সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোরও। বৈঠক শুরুর আগে নীতীশ কুমারের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেন প্রশান্ত। বাংলায় তৃণমূলের ভােট-কৌশল নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার কী কথা হয়েছে, দলের বৈঠকে সে-প্রসঙ্গ ওঠেইনি। প্রশান্তও মুখ খোলেননি মিডিয়ার কাছে। নীতীশ কুমারও সাফ জানিয়ে দেন, ‘অন্য দলের নির্বাচনী কৌশল সাজাতে প্রশান্ত কিশােরের সংস্থা কী করছে, তা নিয়ে জেডিইউ-এর মাথাব্যথা নেই।’ এটাই যে বিজেপির গাত্রদাহের মূল কারণ, তা বলাই বাহুল্য।