ভোটের ফল প্রকাশিত হবার পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের একাংশের উৎপাত শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবার মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাতে শুরু হল বিজেপির উৎপাত। তাও আবার গুজরাতের রাজধানী আমেদাবাদে। জলের সমস্যা নিয়ে এলাকার বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন আমেদাবাদের এনসিপি নেত্রী। কিন্তু সেই মহিলার অভিযোগ, কোনও কথাই না শুনে উল্টে ওই তরুণীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেছেন বিজেপির বিধায়ক। এমন গুরুতর অভিযোগই উঠেছে আমদাবাদ নারোদা বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক বলরাম থাওয়ানির বিরুদ্ধে।
ওই এলাকারই এনসিপি নেত্রী নীতু তেজওয়ানি জলের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন বলরাম থাওয়ানির অফিসে। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয়দের আরও কয়েকজন। নীতুর অভিযোগ, কোনও কিছু না শুনেই সপাটে তাঁকে থাপ্পড় মারেন বিধায়ক। টাল সামলাতে না পেরে মাটিতে পড়ে গেলে শুরু হয়ে লাথি চালানো। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে বিজেপি বিধায়কের এ হেন আচরণের ভিডিও। নীতুর আরও অভিযোগ, তাঁর স্বামীকেও মারধর করেছেন ওই বিধায়ক এবং তাঁর লোকেরা। এরপরেই পুলিশের কাছে বলরাম থাওয়ানির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নীতু।
সূত্রের খবর, ভিডিওটি গোটা দেশে ভাইরাল হতেই এ দিন বিজেপি-র সর্বভারতীয় নেতৃত্বের তরফে কঠোর বার্তা দেওয়া হয় গুজরাত বিজেপি-কে। তার পরেই ক্ষমা চেয়েছেন বলরাম। দলের এক কেন্দ্রীয় নেতার কথায়, এ ধরনের ঘটনা যে সামগ্রিক ভাবে বিজেপি-র ভাবমূর্তির ক্ষতি করছে সন্দেহ নেই। আগে যা হয়েছে তা হয়েছে, দলের সকলেই এ বার সংযত আচরণ করতে হবে।
সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলরাম বলেছেন, আত্মরক্ষার্থেই এমনটা ঘটেছে। বলরামের কথায়, “জনা পঞ্চাশেক মহিলা এবং বেশ কিছু পুলিশ নিয়ে নীতু আমার সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন। ওঁদের সঙ্গে যখন কথা বলছিলাম তখন আচমকাই জনতা আমায় ঘিরে ধরে। ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ কেউ আমায় ঘুষি, চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করে। আত্ম রক্ষার স্বার্থেই এই ঘটনা”। যদিও পরে অবশ্য ভোল বদলেছেন বলরাম। বলরাম পরে বলেছেন, “আমি আবেগে ভেসে গিয়েছিলাম। নিজের ভুল স্বীকার করছি। গত ২২ বছর ধরে রাজনীতি করছি। কোনওদিন এরকম হয়নি। আমি ওঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব”।