বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই নিজেদের জাত চেনাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তানকে কার্যত দুরমুশ করে দিল গেইল বাহিনী। টেন্ট ব্রিজে এ দিন সরফরাজের দলকে ৭ উইকেটে হারাল গেইল বাহিনী। প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১০৫ রান করে পাক বাহিনী। জবাবে ২১৮ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
গতকাল পুরো ৫০ ওভার ব্যাটও করতে পারেনি পাকিস্তান। মাত্র ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। তা-ও আবার ২১ ওভার ৪ বলের মধ্যেই। দলের হয়ে ফকর জামান এবং বাবর আজম করেন ২২ রান। অধিনায়ক সরফরাজের ব্যাট থেকে উঠে আসে ১৬ রান। এছাড়া সেরকম কেউই মুখ তুলে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তানের হয়ে।
টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক হোল্ডার। কিন্তু শুরু থেকেই ক্যারিবিয়ান পেসারদের শরীর লক্ষ্য করে খাটো লেংথের বল সামলানোর উত্তর ছিল না পাক ব্যাটসম্যানদের কাছে। ২১.৪ ওভারের মধ্যেই পাকিস্তান অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে। বিশ্বকাপে এটাই পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। দশম উইকেটে মহম্মদ আমির (ন.আ ৩) ও ওয়াহাব রিয়াজ় (১৮) জুটি ২২ রান না তুললে আরও কমে শেষ হয়ে যেতে পারত পাক ইনিংস।
ওশেন থমাস ম্যাচ সেরা হলেও ছয় ওভারে প্রথম পরিবর্ত বোলার হিসেবে এসে শর্ট বলে পাকিস্তানের দুর্বলতা আরও প্রকট করে দেন আন্দ্রে রাসেল। এ দিন, ব্যাট নয়, বল হাতেই ঝলসে উঠলেন তিনি। রাসেলই নেতৃত্ব দেন ক্যারিবিয়ান বোলিংকে। তিন ওভার বল করে একটি মেডেন-সহ চার রানে দুই উইকেট নেন তিনি। ১৮টি বলের মধ্যে ১৫টি বলই তিনি শর্ট লেংথে করেন। যা সামলাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফেরেন ফখর জ়মান (২২) ও হ্যারিস সোহেল (৮)। তার আগেই শেল্ডন কটরেল (১-১৮) ইমাম উল হককে (২) ফিরিয়ে পাকিস্তানকে প্রথম ধাক্কা দেন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান বাবর আজ়মের (২২)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসারদের শর্ট বলের সামনে ৬৮ বল খেলে সাত উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান তোলে পাকিস্তান।
জবাবে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন ক্রিস গেল (৩৪ বলে ৫০) ও শেই হোপ (১১)। কিন্তু মহম্মদ আমিরের বলে হোপ ও ড্যারেন ব্র্যাভো (০) দ্রুত ফিরে যান। এই পরিস্থিতিতে ১৯ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় তুলে আনেন নিকোলাস পুরান ও শিমরন হেটমায়ার (ন.আ ৭)।
ক্রিস গেইল বিশ্বকাপে সর্বাধিক ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ডও এদিন করে ফেললেন। আজকের তিনটি ছক্কা মিলিয়ে বিশ্বকাপে মোট ৪০টি ছয় মারার রেকর্ড করলেন তিনি। এছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৯,০০০ রানও ছুঁয়ে ফেললেন ক্রিস গেইল।