সাউদাম্পটনে পৌঁছে বৃহস্পতিবারই প্র্যাক্টিসে নেমে পড়ল ভারত। সেখানে শুরুতেই নেটে বল করতে দেখা গেল কোহালিকে। যা দেখার পরে টুইটারে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের সার্বিক প্রতিক্রিয়া হল,‘‘ভারত এক জন ষষ্ঠ বোলার পেয়ে গেল!’’ নেটে কোহালিকে অফস্পিন করতে দেখা গিয়েছে। ভারত অধিনায়ক যে আগে বল করেননি, তা নয়। কিন্তু তখন তিনি মিডিয়াম পেস করতেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেটও পেয়েছেন কোহালি। ওয়ান ডে-তে চারটে এবং টি-টোয়েন্টিতেও চারটে উইকেট রয়েছে কোহালির ঝুলিতে।
শুধু ব্যাটিং-বোলিং নয়, ফিল্ডিংয়েও যে বিশ্বকাপে ভারত বাজিমাত করতে চাইছে, সেটা বোঝা গেল সাউদাম্পটনে প্র্যাক্টিসের প্রথম দিনই। অভিনব ‘রাউন্ড দ্য ক্লক’ ফিল্ডিং ড্রিল। কেমন সেটা? ভারতের ফিল্ডিং কোচ রামকষ্ণন শ্রীধর নিজেই বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘এটার উদ্দেশ্য ডাইরেক্ট থ্রো-তে সাফল্যের জন্য। এক জন ফিল্ডার ছ’টা আলাদা অ্যাঙ্গল থেকে সরাসরি থ্রো-তে নন স্ট্রাইকিং এন্ডের উইকেট ভাঙবেন। এবং এটা করতে হবে অন্তত কুড়িবার।’গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ডাইরেক্ট থ্রো-তে অনেক ম্যাচের রং বদলে যায়। রবীন্দ্র জাডেজা এ ব্যাপারে ভারতের সেরা বাজি। শ্রীধরের কথায় পরিষ্কার, ভারতীয় টিম একাধিক ক্রিকেটারের থেকে সেই সার্ভিস পেতে চাইছে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিয়োয় শ্রীধর ব্যাখ্যা দিয়েছেন, বিভিন্ন কোন থেকে ফিল্ডারদের বলা হয়েছিল এক থ্রোয়ে উইকেট ভাঙতে। যত ক্ষণ না পর্যন্ত ফিল্ডাররা উইকেট ভাঙতে পারবেন, তত ক্ষণ তাঁদের বল মেরে যেতে হবে উইকেটে। শ্রীধর বলেছেন, ‘‘আমাদের ফিল্ডিংয়ের আজ মূল বিষয় ছিল ডাইরেক্ট হিট। যেখানে জোর দেওয়া হয়েছিল, নন স্ট্রাইকার এন্ডের উইকেটে বল মারার উপরে।’’ সেই অনুযায়ী প্রথমে ‘রাউন্ড দ্য ক্লক’ বলে একটা সেশন হয়। যেখানে ছ’রকম জায়গা থেকে ২০বার উইকেট লক্ষ্য করে বল মারতে হয়। শ্রীধর আরও বলেন, ‘‘তার পরে ছোট একটা টেকনিক্যাল সেশন হয়। যেখানে ক্রিকেটারদের বোঝাই, বল ছোড়ার সময় হাতের অবস্থান কী রকম হবে। এক থ্রোয়ে বল উইকেট মারার ক্ষেত্রে হাতের অবস্থানটা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’ এর পরে আরও একটা বিশেষ ফিল্ডিং সেশন হয়। যা নিয়ে শ্রীধর বলেছেন, ‘‘এর পরে আমরা একটা খেলা খেলি। যেখানে এক টিপে উইকেট ভাঙতে পারলে ছুটি। আর না পারলে, তাকে আবার ফিরে এসে উইকেটে বল মারতে হবে। শেষ পর্যন্ত এক জন ফিল্ডারই উইকেট ভাঙতে পারেনি।’’ সেই ফিল্ডারের নাম অবশ্য জানা যায়নি।