আজ শুরু বিশ্বকাপের ধুন্ধুমার লড়াই। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড। তবে ভারতের খেলতে নামার আগে কয়েকটি বিষয়ে ফের সতর্ক করে দিলেন কপিলদেব। তিনি জানালেন, “ দলের কথা ভেবে খেলো, কাপ আসতে বাধ্য”।
আরও একটা ব্যাপারে কপিলদেব সতর্ক করেছেন ভারতকে। সেটা হল, কোনও এক জনের উপরে যেন নির্ভরশীল হয়ে না পড়ে দল। ওদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, ভারতের পুরো দলই যেন কোনও না কোনও ভাবে অবদান রাখে প্রতিটা ম্যাচে। আর ভারত একটা দলগত পারফরম্যান্স উপহার দেয়। ব্যক্তির আগে দলকে রাখতে হবে। দলগত লড়াই লড়তে পারলেই ভারত নিজের পুরো ক্ষমতা অনুযায়ী খেলতে পারবে।
কপিল আরও জানাচ্ছেন, “ ভারতের একটা জিনিস খুব ভাল লাগছে। যে ভাবে ভারতীয় বোলিং বিভাগ প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করে চলেছে, সেটা কিন্তু সত্যিই চমকপ্রদ। আর সে কারণেই বিপক্ষ দলগুলো সমীহ করছে ভারতীয় বোলারদের। আমার মনে হয়, হার্দিক পাণ্ড্যকে দিয়ে অধিনায়ক অনায়াসে প্রতি ম্যাচে ১০টি ওভার বল করাতে পারে। ওর উইকেট নেওয়ার দক্ষতাটা মাথায় রাখতে হবে। পাশাপাশি হার্দিক যদি ব্যাট হাতে ওর স্বাভাবিক খেলাটা খেলে, তা হলে কিন্তু বিশ্বকাপ অভিযানে ও ভারতের বড় অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে”।
বিশ্বকাপের দলগুলোর শক্তি-দুর্বলতার কথা মাথায় রেখে তিন সেমিফাইনালিস্টকে বেছে নিয়েছেন কপিল। তিনি বলছেন, “ ভারত তো থাকবেই। ইংল্যান্ডকেও রাখতে হবে। একে তো ওদের ঘরের মাঠে খেলা। তার উপরে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে ইংল্যান্ড ওদের ওয়ান ডে দলের খোলনলচে পাল্টে ফেলেছে। আর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দারুণ খেলে চলেছে। আমার তিন নম্বর পছন্দ হল অস্ট্রেলিয়া। চার নম্বর জায়গাটার জন্য কিন্তু অনেক দলই আছে যারা লড়াই করবে। সেই ১৯৯২ সালের পরে আবার বিশ্বকাপের লিগ পর্বে সব দল সবার সঙ্গে খেলবে। ইংল্যান্ডে খেলা বলে এটা একেবারে আদর্শ ফর্ম্যাট। ওখানে যে কোনও মুহূর্তে আবহাওয়া পাল্টে যায়। বৃষ্টি এসে ম্যাচ ভেস্তে দিতে পারে। অতীতে এমন অনেক উদাহরণ আছে যেখানে এই ভাবে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার কারণে একটা, দুটো ভাল দলকে ছিটকে যেতে হয়েছে। আবার কখনও দেখা গিয়েছে, তথাকথিত ছোট দলের কাছে একটা ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে গিয়েছে কোনও বড় দলের। এ বার কিন্তু এ রকম ঘটনা ঘটলেও দলগুলোর সামনে সুযোগ থাকবে ফিরে আসার”।