ফের একবার ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। ইরাকের মূর্তি ভাঙার ছবি পোস্ট করে বাংলায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ছবি বলে চালানোর চেষ্টা করল তারা। অবশ্য গেরুয়া শিবিরের এই অভিযোগ ধোপে টেঁকেনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যায় ছবিটা ভুয়ো।
প্রসঙ্গত, ১৪ মে কলকাতায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর রোড শো থেকে বিদ্যাসাগর কলেজে ভাঙচুর ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। সাংবাদিক সম্মেলনে ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ও প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রমান করে দেন, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার জন্য দায়ী বিজেপি। এরপর স্বাভাবিকভাবেই আসরে নামে গেরুয়া শিবির। বেশ কিছু মূর্তি ভাঙার ছবি পোস্ট করে তারা। দাবি করে, এগুলিই তৃণমূলের বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রমান।
বিজেপির সেই ছবি পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা যায়, ছবিগুলি চার বছর আগে তোলা। আইএসআইএস সমর্থকরা উত্তর ইরাকের মশুল মিউজিয়ামের বেশ কয়েকটি অমূল্য মূর্তি ভাঙচুর করেছিল। এগুলি তারই ছবি। বিজেপি সেগুলিকেই বাংলায় তৃণমূল বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর করছে বলে চালানোর চেষ্টা করেছিল।
অবশ্য এবারই প্রথম নয়। তৃণমূল শাসনাধীন বাংলার ‘প্রকৃত ছবি’ তুলে ধরতে গিয়ে বাংলাদেশের ছবি ব্যবহার করেছিল বিজেপি। সেই নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এবার মশুলের মূর্তি ভাঙার ছবি দিয়ে বাংলায় তৃণমূল কর্মীদের বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুরের ছবি বলে চালানোর চেষ্টা করল তারা। এই প্রসঙ্গে এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দিচ্ছে। একটা সম্প্রদায়ের সঙ্গে অন্য সম্প্রদায়ের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি করছে। সমাজকে বিভ্রান্ত করছে। সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বিজেপি। আসলে এটাই তাদের সংস্কৃতি’।