আগামীকাল, রবিবার শেষ হতে চলেছে দেশের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন। সাত দফার এই ভোটপর্বে দেশের কোনও প্রান্তেই এবার আর দেখা যায়নি ‘মোদী লহর’। এ নিয়েই এবার গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করলেন বিহারিবাবু। ২০১৪ সালের মোদীঝড় গত পাঁচ বছরে বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছে। বিহারে এবার এনডিএকে উড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত মহাজোট। শুক্রবার প্রচারের শেষ দিনে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই দাবি করলেন পাটনা সাহিবের কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা।
উল্লেখ্য, বিজেপির ‘বিদ্রোহী’ এই সাংসদ এবার ভোটের আগেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে প্রার্থী হয়েছেন তাঁর স্ত্রী পুনম সিনহাও। লখনউ কেন্দ্রে বিজেপির রাজনাথ সিংয়ের বিরুদ্ধে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির মহাজোটের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস আলাদা লড়লেও বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত বলেই মনে করছেন ‘বিহারিবাবু’। তাঁর কথায়, ‘মহাজোট ওদের টুকরো টুকরো করে উড়িয়ে দেবে।’ এই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১০০ আসনে নেমে আসবে বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, পাটনা সাহিব কেন্দ্রটি এবার ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ এই অভিনেতা-রাজনীতিকের কাছে। জারণ এই আসনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। আগামী কালই এই আসনে নির্বাচন। গত মাসেই দলের সঙ্গে প্রায় তিন দশকের সম্পর্কে ইতি টেনেছেন শত্রুঘ্ন। নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় জায়গা না পাওয়ায় ‘বিদ্রোহী’ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এমনই দাবি করা হয়েছে বিজেপি সূত্রে। যাকে ‘চোরের মায়ের বড় গলা’-ই বলছেন ‘বিহারিবাবু’। তাঁর প্রশ্ন, ‘ধরে নিন আমার মন্ত্রিত্ব না পাওয়া নিয়ে সমস্যা ছিল। এখন ওয়ান ম্যান শো আর টু ম্যান আর্মি (মোদী-শাহ) কী বলতে পারবেন যে আডবানী এবং মুরলি মনোহর যোশির মতো বিজেপির পরাক্রমী নেতাদের সঙ্গে কেন খারাপ ব্যবহার করা হল!’