শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের আনন্দপুরে গিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। বলেছিলেন, ‘কেউ ভয় দেখালে বাড়ি থেকে বের করে কুকুরের মতো মারব।’ ভারতীর হুমকির ১২ ঘণ্টার মধ্যে কেশপুরে তীরবিদ্ধ হলেন দুই তৃণমূল কর্মী। আক্রান্ত দু’জনের নাম সঞ্জিত নায়েক ও শেখ শাহাবুদ্দিন৷
শনিবার রাতে ঘটনার সময় গ্রামের তৃণমূল পার্টি অফিসে তাঁরা বসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন। বাড়ি ফেরার জন্য দু’জনে একটি মোটরবাইকে উঠতে গলেই সেখানে হাজির হয় বিজেপি–র কিছু কর্মী। কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাঁরা দু’পক্ষ বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর হাতাহাতি শুরু হয়। সেই সময় তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে তীর ছুঁড়তে থাকেন বিজেপি–র কর্মীরা। তখন সঞ্জিতের পিঠ ফুঁড়ে তীর ঢুকে যায়। সাহাবুদ্দিনের হাতে তীর লাগে। এরপর তাঁরা মাটিতে পড়ে যান। তখন তাঁদের মোটরবাইকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বিজেপি–র কর্মীরা।
ভারতীর ওই নোংরা কথার পর তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সব ধরনের তথ্য–প্রমাণ সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশনের কাছে যাব। তাঁর প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি জানাব।’ সেই মতো ভারতী ঘোষের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। তীর চালানোর ঘটনায় এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বিজেপি প্রার্থীকে সতর্কও করে দেন।
এই ঘটনায় কেশপুর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় পান বলেন, ‘ভারতী ঘোষ ভোটে দাঁড়ানোর সময় থেকেই কেশপুরে অশান্তি শুরু হয়েছে। এর আগেও কয়েকবার বহিরাগতদের এনে তিনি এখানে ঝামেলা করেছেন। স্থানীয় মানুষ বিজেপি এবং ভারতীর পাশে নেই। সেই আক্রোশেই এমন আক্রমণ করা হয়েছে।’




