গতকালই তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভার উপ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন। সেখানে ছিল কিছু প্রত্যাশা মাফিক আর কিছু ছিল চমক। লোকসভার সঙ্গে সঙ্গে বিধানসভার উপনির্বাচনও যে মুখ্যমন্ত্রীর একইরকম নজর তা স্পষ্ট।
দার্জিলিংয়ে বিনয় তামাংকে প্রার্থী করা একরকম মাস্টার স্ট্রোক। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়ে দেন, দার্জিলিংয়ে প্রার্থী হচ্ছেন বিনয় তামাং। তৃণমূলের পূর্ণ সমর্থন থাকবে, সেটাও সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন। আর তারপরই প্রচারে নেমে পড়লেন বিনয়পন্থীরা। জিতলেই তিনি মন্ত্রী হচ্ছেন, এই বার্তাও ইতিমধ্যে ছড়িয়ে গেছে পাহাড়ে। এই বার্তাটাই বাড়তি উৎসাহ এনে দিয়েছে পাহাড়বাসীর মনে। লোকসভা নির্বাচনের পর দেশের নানা প্রান্তের পর্যটকেরা ভিড় জমিয়েছেন দার্জিলিংয়ে।বতার মধ্যেই ফের ভোটের আবহে এসে যাচ্ছে পাহাড়ে। পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় বিনয়কে জেতানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।
ইসলামপুরে প্রার্থী হচ্ছেন আবদুল করিম চৌধুরি। সিউড়ির জনসভা থেকে এই বার্তা ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা যায় উচ্ছ্বাস। মারাত্মক খুশি করিম মমতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মনোনয়ন জমা পড়ার পর থেকে গ্রামেই পড়ে থাকবেন। তিনি আরও জানালেন, দিদি মানুষের মন বুঝে যেভাবে প্রার্থী করেছেন আবার, তার জন্যে ধন্যবাদ, ঘরে বসে থাকব না। মানুষের কাছে যাব, তাঁদের জন্যে কাজ করব, তাঁদের সমস্যার কথা শুনব”।
হবিবপুর বিধানসভার প্রার্থী হতে চলেছেন অমল কিস্কু। ২০১৬ সালের এই দাপুটে নেতার ওপরেই আস্থা রাখছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “ হবিবপুর থেকে অমল কিস্কু জিতছে এবং মালদা একজন মন্ত্রী পেতে চলেছে। আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য হবিবপুর উপনির্বাচনে আমাদের প্রার্থীকে জয়ী করা”।
সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের আবহে এই উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা যে এক বড় চমক তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। লোকসভা ভোটের ফলঘোষণাতে যেভাবে বাংলা সবুজ হয়ে ওঠা শুধু সময়ের অপেক্ষা, উপনির্বাচনেও যে তাই হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।