মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞার পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সাধবীকে ভোপাল থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, অসুস্থতার কারণে জামিনে মুক্ত থাকা মালেগাঁও বিস্ফোরণের মতো গুরুতর ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে কী করে প্রার্থী করল বিজেপি? তাছাড়া, প্রার্থী হয়েই ‘শহীদ’ হেমন্ত কারকারে সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিশাপেই ওই শহীদের মৃত্যু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন সাধ্বী। পরে ক্ষমাও চান। কিন্তু এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই দাঁড়ালেন সাধ্বী প্রজ্ঞার পাশে। ফলে প্রশ্ন উঠে গেল, এমন বিতর্কিত মন্তব্য করার পরেও মোদী কীভাবে সাধবীকে সমর্থন জানালেন? তাহলে কী দেশের শহীদদের সম্পর্কে সাধ্বীর মতই পোষণ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদীও?
সাধ্বীর মতো একজন অভিযুক্তকে বিজেপি কেন প্রার্থী করল, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েও কংগ্রেসকেই বিঁধেছেন মোদী। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীকেও কটাক্ষ করে মোদীর বক্তব্য, একাধিক মামলায় জামিনে মুক্ত থাকা রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধী যদি উত্তর প্রদেশের আমেঠি এবং রায়বেরলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়তে পারেন এবং তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে যদি কোনও প্রশ্ন না ওঠে তাহলে সাধ্বী প্রজ্ঞা জামিনে মুক্ত রয়েছেন এবং এখনও প্রমানিত হয়নি তাঁর দোষ, তবে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে এত প্রশ্ন কেন করা হচ্ছে?
মোদীর এমন জবাবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, মুই খারাপ না তুই খারাপ, জাতীয় প্রতিযোগিতায় নেমেছেন মোদী। অন্যে ভুল করলে নিজের ভুল করার ছাড়পত্র যে মেলে না সেটাই তিনি ভুলে গেছেন।
