গত ১১ এপ্রিল থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন। আগামী ৬ মে পঞ্চম দফায় ভোট হবে বাংলার ব্যারাকপুর কেন্দ্রে। কিন্তু ভোটের আগে আবারও ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং সাক্ষাৎ করলেন এই কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ তথা দাপুটে সিপিএম নেতা তড়িৎবরণ তোপদারের সঙ্গে। এর আগে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে অর্জুনের নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই তড়িতের বাড়ি ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। ফের তাঁদের সাক্ষাৎ ঘিরে ইতিমধ্যেই জল্পনা তুঙ্গে। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে অর্জুন সাফাই দিলেও, প্রশ্ন করলেই রেগে যাচ্ছে তড়িৎ তোপদার।
একজন সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়ে ব্যারাকপুরে কেন্দ্রে প্রার্থী। অপর জন সেই কেন্দ্রের ১৯ বছরের সাংসদ। ফলে এমন দুই ব্যক্তির মধ্যে বারবার বৈঠক হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে এই গুঞ্জন শুরু হয়েছে যে বিজেপির পথে পা বাড়াতে চলেছেন তড়িৎ। এই কারণেই সিপিএম প্রার্থী গার্গী চট্টোপাধ্যায়ের প্রচারেও দেখা যাচ্ছে না। কেউ কেউ আবার বলছেন, ভোটে জিততে তড়িৎ অনুগামীদের সাহায্য চাইছেন অর্জুন। উল্লেখ্য, প্রার্থীপদ ঘোষণার পরেই তিনি যখন তড়িতের বাড়ি গিয়েছিলেন, তখন তাঁকে প্রশ্ন করায় অর্জুন বলেছিলেন, ১৯ বছরের সাংসদের কাছে তিনি আশীর্বাদ নিতে এসেছেন। যদিও সূত্রের খবর, নিজের জন্মদিনেও বর্ষীয়ান এই সিপিএম নেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন অর্জুন। তাছাড়াও মাঝে মধ্যেই দুই নেতার সাক্ষাৎ হচ্ছে।
তবে অপর একটি ছবি নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে দমদমের বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করছেন তড়িৎ তোপদার। তবে সাক্ষাতের বিষয় নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছে তড়িৎকে। তাঁর ব্যখ্যা, তিনি অটলবিহারী বাজপেয়ীর বাড়িতে যেতেন কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই। বাজপেয়ী যাঁকে প্রভাবিত করতে পারেনি, তাঁকে প্রভাবিত করবেন অর্জুন! তবে এ নিয়ে ইতিমধ্যেই তাঁকে তুলোধনা করতে শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূলের অভিযোগ রাজ্যে রাম-বাম সব এক হয়ে গেছে। এই ঘটনাই তাঁর প্রমাণ। জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যেমন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ব্যারাকপুর থেকে তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীই বিপুল ভোটে জিতবেন। অর্জুন-তড়িতের ‘গোপন বৈঠক’ বা রাম-বাম জোট করেও বিশেষ লাভ হবে না।