লোকসভা ভোটে দলের প্রার্থীদের জেতানোর জন্যে এবার এক অভিনব পন্থা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দলের প্রার্থীদের জেতানোর আবেদন করছেন তিনি। প্রার্থী থেকে শুরু করে নেতা ও কর্মীরা এই ভিডিও বার্তায় উদ্বুদ্ধ।
বোলপুর থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন অসিত মাল। অসিত মাল সম্পর্কে মমতার আবেদন, ‘অসিত মাল আগেও বিধায়ক ছিলেন। ভাল কাজ করেছেন। বোলপুর আমার প্রাণের জায়গা। আপনারা সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে গিয়ে অসিত মালকে ভোট দিন। আগামী দিনে বোলপুরে আরও কাজ হবে।’ বর্ধমান–দুর্গাপুর থেকে এবারও প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি নুরে আলম চৌধুরির স্ত্রী মমতাজ সঙ্ঘমিতা। ২০১৪–এ তিনি প্রথম এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। ভিডিও মারফত মমতা জানিয়েছেন, ‘মমতাজ সঙ্ঘমিতাকে আমরা ভালবাসি। সম্মান করি। অনেক কাজ করেছেন। আগামী দিনেও কাজ করবেন। বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসকে একটি ভোটও দেবেন না।’
রানাঘাটের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস কিছু দিন আগে খুন হন। এবার লোকসভায় তাঁর স্ত্রী রূপালি বিশ্বাসকে প্রার্থী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দলে এবার অনেক মহিলাকে মমতা ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। তাঁর সম্পর্কে মমতা বলেছেন, ‘তাঁর ও তাঁর বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে আপনারা রুপালিকে জয়ী করুন। আগামী দিনে তিনি অনেক কাজ করবেন। কুৎসা ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে বিজেপি–কে পরাজিত করুন।’ রাজ্যের মন্ত্রীদের মধ্যে ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চ্যাটার্জি, অরূপ বিশ্বাস, সাধন পান্ডে, সুজিত বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, নির্মল মাজি–সহ প্রত্যেকে এখন প্রচারে ব্যস্ত। অরূপ উত্তরবঙ্গে, ফিরহাদ মুর্শিদাবাদ ও পার্থ চ্যাটার্জি নদিয়ায় প্রচার করতে গেছেন। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবার ভোটে না দাঁড়িয়ে প্রচার করছেন।
মালদা দক্ষিণ থেকে দলের প্রার্থী হয়েছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক মোয়াজ্জেম হোসেন। তাঁর হয়ে আবেদন করেছেন মমতা। তিনি বলেছেন, ‘মোয়াজ্জেম হোসেন একজন প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার। সজ্জন মানুষ। এলাকায় সুনাম আছে। দক্ষিণ মালদার মানুষের প্রত্যাশা আছে তাঁর কাছে। তাঁকে ভোট দিলে আগামী দিনে দক্ষিণ মালদায় অনেক কাজ হবে।’