শনিবারই রামনবমীর এক মিছিলে দেখা গেছে রাষ্ট্রপতির ছবি। সঙ্গে বড় বড় হরফে স্লোগান, ‘আমরা গর্বিত আমাদের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী রামভক্ত।’ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বিতর্ক। এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার কৃষ্ণনগরে দলীয় কর্মীসভায় এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থ বলেন, ‘বিজেপি হিন্দুত্বের তাস খেলছে। রামনবমীর মিছিলে রাহুল সিনহা রাষ্ট্রপতির ছবি ব্যবহার করেছেন। সেই মিছিলে লেখাও ছিল আমাদের রাষ্ট্রপতি হিন্দু। এভাবে বিজেপি দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করে বিপদ ডেকে নিয়ে আসছে, তেমনই তারা নিজেদেরও বিপদ ডেকে আনছে।’
গতকাল কৃষ্ণনগরে ছিল দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে এক কর্মীসভা। উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র, কারিগরি মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, অসীম সাহা-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সেখানে জেলা নেতৃত্বকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন পার্থ। সেইসঙ্গে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হওয়া বিশাল উন্নয়ন যজ্ঞের কথা তুলে ধরে প্রচারে ঝাঁপানোর নির্দেশ দেন। তাঁর কথায়, আমাদের প্রার্থী কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে মহুয়া মৈত্র ও রানাঘাট কেন্দ্রের রুপালি বিশ্বাসকে জয়ী করতে হবে। গত লোকসভার থেকেও বড় ব্যবধানে জয়ী করার লক্ষ্য নিয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
ওই সভা থেকে বিজেপির বিরোধীতায় মন্ত্রী বলেন, এর আগে বিজেপি সেনাবাহিনী নিয়ে একই কাজ করেছিল, তখন চারদিকে প্রতিবাদ হয়েছে। এবার রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে পড়েছে। তারা গর্ব করে এখন বলছে রাষ্ট্রপতিও হিন্দু। ওদের এইরকম প্ররোচনামূলক কথা সমাজকে দ্বিখণ্ডিত করবে। যেখানে শান্তি সম্প্রীতি একতার বাতাবরণে রাজ্য চলছে সেখানে তারা আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে।
গতকাল এক প্রশ্নের উত্তরে পার্থ বলেন, নির্বাচন কমিশন দিলীপ ঘোষকে কিছুই বলছে না। তার কারণ তাঁর জামার কলারে পদ্মফুল লাগানো আছে। অন্য কেউ হলে এতক্ষণে চারটি চিঠি পেয়ে যেত। উনি এখন জিরো থেকে হিরো হওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন সব কথা বলছেন যাতে বাংলার রাজনীতি কলুষিত হচ্ছে। উনি চেষ্টা করে চলেছেন গণ্ডগোল পাকানোর। তবে বাংলার মানুষ বুঝে গেছে যে কে বাঘ আর কে বিড়াল।
তিনি আরও বলেন, আমি শুনেছি রামনবমীর পোস্টারে রামের পাশে দিলীপের ছবি ছিল। নির্বাচন কমিশন সেই পোস্টার খুলে নিয়েছে। তাতে তিনি বলেছেন যে উনি সামনে থাকলে তাঁদের উর্দি খুলে নিতেন। এমন একজনকে চৌকিদারবাবু চৌকিদার করেছেন যে তাঁর কথা, তাঁর বাক্য এই রাজ্যের মানুষের মাথা হেঁট করে দিচ্ছে। এইসব কথার উত্তর মানুষই দেবে। উনি যেখানে দাঁড়িয়েছেন, সেখানেও উত্তর পাবেন।




