বীরভূম লোকসভা থেকে পর পর দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন শতাব্দী রায়। কিন্তু, ১০ বছর পরও এই তৃণমূলের প্রার্থীকে ঘিরে সাধারণ মানুষের উৎসাহের শেষ নেই। বুধবার সিউড়ি-২ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে প্রচারে যান শতাব্দী। তাঁর প্রচারে রাস্তায় মানুষের ঢল নেমে আসে। শতাব্দীকে একঝলক দেখার জন্য প্রাচার গাড়ির পিছনে মানুষ ছুটতে শুরু করে। নিজের অভিনেত্রী সত্ত্বা এখনও মানুষের মনে রয়েছে দেখে, টিভির পে চ্যানেলের দাম বাড়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “এখন আমার সিনেমা আর টিভিতে দেখতে পাচ্ছেন না তো? দেখতে হলে বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে। এজন্য আমি বা আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী নয়। দায়ী বিজেপির সরকার”।
বুধবার সিউড়ি-২ ব্লকের সভাস্থলে শতাব্দীর আসার আগে মানুষের মধ্যে তেমন উৎসাহ ছিল না। কিন্তু, আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে অভিনেত্রী কোমর দোলাতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। তাঁকে একবার দেখতে গ্রামবাসীদের মধ্যে উৎসাহ তুঙ্গে উঠে। সভা শেষ করে প্রার্থীর গাড়ি এগিয়ে যেতে থাকে তালিবপুরে পরবর্তী সভাস্থলের দিকে। রাস্তা দিয়ে গাড়ি এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের বাচ্চা ও মহিলারা ছুটতে থাকেন শতাব্দী রায়কে দেখার জন্য। ২০০৯ এর পর ১০ বছর কেটে গেলেও শতাব্দীর জনপ্রিয়তায় এতটুকু ভাটা পরেনি।
সদ্য মা হারা রেখা রায়ও এদিন সর্বক্ষণ বন্ধু শতাব্দী রায়ের সঙ্গে ছিলেন। এবার নির্বাচনে শতাব্দীর হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন তাঁর দিল্লীর আইনজীবী বন্ধু আসরফ আলি। এছাড়াও এদিন অভিনেত্রীর কর্মসূচিতে সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন এলাকায় বিধায়ক নীলাবতী সাহা ও ব্লক সভাপতি তথা জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি নুরুল ইসলাম। শতাব্দী রায় বলেন, “১০ বছর পরও মানুষ আমাকে দেখার জন্য উদগ্রীব, এটা জেনে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। বীরভূমবাসীর এই ভালোবাসা আমিও যতটা সম্ভব ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এবার ভোটেও তাঁরা আমাকে আশীর্বাদ করবেন”।