‘যখন স্কার্ট ওয়ালি বাই শাড়ি পরে মন্দিরে যায়, তখন আর আচ্ছে দিন দেখা যায় না।’ এবার ঠিক এই ভাষাতেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা জয়করণ গুপ্তা। মীরটে প্রকাশ্য জনসভায় প্রিয়াঙ্কাকে ‘স্কার্ট ওয়ালি বাই’ বলে ইতিমধ্যেই বিতর্কের শিরোনামে তিনি।
উত্তর প্রদেশের মীরটের ওই জনসভায় জয়করণ বলেন, ‘এক জন কংগ্রেস নেতা জিজ্ঞাসা করেন, আচ্ছে দিন কোথায়? তাদের বলি, যখন স্কার্ট ওয়ালি বাই যখন শাড়ি পরে মন্দিরে যান পুজো দেন, তখন আর আচ্ছে দিন দেখা যায় না।’ কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি এ-ও বলেন যে, ‘যারা আগে গঙ্গাকে এড়িয়ে গেলেও আজ সেই গঙ্গাকে পবিত্র বলে মনে করছেন, তারা কি আচ্ছে দিন দেখতে পাচ্ছেন না!’
বিতর্কিত মন্তব্য করেই পরে ঢোক গিলতে হয় জয়করণকে। সাফাই দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এমন অনেক মানুষই করে থাকেন। এখন আপনারা দেখে নিন কে আমার মন্তব্যে ফিট হয়। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে। উল্লেখ্য, মাত্র কিছুদিন আগেই রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা৷ তবে রাজনীতিতে প্রবেশ করার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য শোনা গেছে বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা মনসুখ মান্ডবিয়া প্রিয়াঙ্কার ‘টিকালো নাক’ নিয়ে কুৎসিত আক্রমণ করে বলেন, ‘তাঁর ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর মতো নাক নিয়ে যদি ভাবেন ক্ষমতা আসবেন, তা হলে চিনে কেউ প্রেসিডেন্টই হতে পারতেন না।’ আবার তাঁর রাজনীতিতে পা রাখার কিছুদিন পরই তাঁকে ‘চকোলেট ফেস’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
এখানেই শেষ নয়। এর আগে ত্তর প্রদেশের বিজেপি সাংসদ হরিশ দ্বিবেদী বলেছিলেন, প্রিয়াঙ্কা যখন দিল্লীতে থাকেন তখন তাঁকে জিনস-টপে দেখা যায়। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারের সময় তিনি নেমে পড়েন শাড়ি-সিঁদুর পরে। বিহারের বিজেপি নেতা বিনোদ নারায়ণ ঝাঁ আবার বলেছিলেন, ‘নির্বাচন কোনও সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতা নয়, যা সুন্দর মুখ দেখালেই জেতা যাবে।’ এমনকি বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী সোনিয়া তনয়াকে মানসিক অবসাদগ্রস্ত বলেও কটাক্ষ করেন।
বারবার বিজেপি নেতারা এমন নারী বিদ্বেষী মন্তব্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, নারী জাতিকে অপমান করাই কি বিজেপির সংস্কৃতি? এই মুহূর্তে জয়করণ গুপ্তার ওই বেফাঁস মন্তব্যে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। অন্যদিকে, ভোটের আগে দলীয় নেতা বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়ায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।