সরকারি চাকুরেকে ভোটের টিকিট দিয়ে বিপাকে পড়েছিল গেরুয়া শিবির। আজ সকাল থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে এই প্রশ্ন উঠছিল যে, তবে কি জলপাইগুড়িতে প্রার্থী বদল করতে চলেছে বিজেপি? অবশেষে মিলল সে প্রশ্নের উত্তর। শেষ মুহূর্তে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে নতুন প্রার্থী খুঁজে নিল বিজেপি। দলের নেতা দীপেন প্রামাণিক ওই কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বিজেপির উত্তরবঙ্গ শাখার সহ আহ্বায়ক তিনি। জানা গেছে তাঁকেই দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার ছিল লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এর দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। আর তাতেই বাঁধে বিপত্তি। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায় মনোনয়ন পেশের আগে চাকরিতে পদত্যাগপত্র জমা দিলেও তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার। ফলে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগে নিয়ম ছিল, রাজনৈতিক দলের প্রার্থী যদি সরকারি চাকুরিজীবী হন, তাহলে ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁকে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী, লোকসভা, বিধানভায় কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হলে মনোনয়ন দাখিলের আগেই সরকারি চাকুরিতে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। তা না হলে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে।
সরকারি হাসপাতালের চিকিৎক জয়ন্ত রায়ের এক্ষেত্রে বিষয়টি বুঝতে ভুল হয়েছিল। তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিতে দেরি হয়। কমিউনিটি মেডিসিনের চিকিৎসক জয়ন্ত গত শনিবারই ইস্তফা দেন। আর সাধারণভাবে সেই ইস্তফা মঞ্জুর হতে সময়ও লাগার কথা। তাই পদত্যাগপত্র জমা দিলেও রাজ্য সরকারের তরফে এখনও কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। কিন্তু বুধবার স্ক্রুটিনির সময়ই জয়ন্তকে ইস্তফা মঞ্জুর হওয়ার নথি জমা দিতে হবে।
ফলে তাঁর মনোনয়ন বাতিলের আশঙ্কা রয়েছে। নিতান্তই তেমন হলে নির্দল প্রার্থী দীপেন প্রামাণিককেই সমর্থন জানিয়ে, তাঁকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। আপাতত গতকালের স্ক্রুটিনির দিকেই চোখ রাখছেন জেলার বিজেপি নেতৃত্ব।