প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে জেট এয়ারওয়েজের পাইলট-ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছিল, ‘আমরা আশঙ্কা করছি যে কোনও মুহূর্তেই এই সংস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’ তাঁদের সেই আশঙ্কা ক্রমশই সত্যি হওয়ার পথে। এবার ঋণের দায়ে জর্জরিত জেটের আরও ১৩টি আন্তর্জাতিক রুটের বিমান বন্ধ করে দেওয়া হল। আপাতত আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ফ্লাইটগুলো বন্ধ রাখা হবে বলে ঘোষণা করেছে জেট এয়ারওয়েজ।
সংস্থা সূত্রে খবর, যে সমস্ত সংস্থার কাছ থেকে বিমান ভাড়া করে জেট, তাদের পাওনা মেটাতে না পারার জন্যই নতুন করে আরও বিমান বসাতে হচ্ছে নরেশ গয়ালের সংস্থাকে। পাশাপাশি দিল্লী এবং মুম্বই থেকে যাতায়াত করা অনেক ফ্লাইটের সংখ্যাও কমানো হয়েছে বলে শুক্রবার জেট এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত জেট এয়ারওয়েজের মোট ৫৪টি উড়ান বন্ধ করে দেওয়া হল।
জেট এয়ারওয়েজের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বর্তমানে বিভিন্ন রুটে তাদের ১১৯টি বিমান চলাচল করে। ভাড়া না মেটানোর জন্য তার মধ্যে ৫৪টি ইতিমধ্যেই বসে গিয়েছে। অনেক উড়ানের সংখ্যাও কমাতে হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে পুণে-সিঙ্গাপুর, পুণে-আবুধাবি, মুম্বই-ম্যাঞ্চেস্টার রুটে ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছিল জেট। এছাড়া ইতিমধ্যেই দিল্লী থেকে আবুধাবি, দমন, ঢাকা, হংকং, রিয়াধ এবং বেঙ্গালুরু থেকে সিঙ্গাপুর রুটের সমস্ত ফ্লাইট আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেট এয়ারওয়েজের দিল্লী এবং মুম্বই থেকে কাঠমান্ডু, ব্যাঙ্কক, দোহা, কুয়েত, সিঙ্গাপুর রুটের ফ্লাইটের সংখ্যাও কমিয়ে আনা হয়েছে।
এদিকে যত দিন যাচ্ছে জেটের বিপাক আরও বাড়ছে। পাইলট-ইঞ্জিনিয়ারও বেতন না পেয়ে অনেকেই কাজ ছেড়ে দিচ্ছেন। বাকিরা শীঘ্র বেতন না পেলে কাজ ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন কর্তৃপক্ষকে। তেমনটা হলে জেটের সমস্যা আরও বাড়বে কারণ তখন অন্য সংস্থার থেকে পাইলট-সহ বিমান ভাড়া নিতে হবে জেটকে। জানা গেছে, এই মুহূর্তে বাজারে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার দেনা জেট এয়ারওেজের। এর জেরেই গত কয়েক দিনে একের পর এক বিমান বসিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে জেট।