নাম ঘোষণা হয়ে যেতেই প্রচারে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। গতকাল থেকে জোর কদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন কৃষ্ণনগরের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। গতকাল দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মিছিলে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাস্তায় মানুষের ঢল বুঝিয়ে দিল তাঁরা মহুয়ার সঙ্গে আছেন।
শুক্রবার কৃষ্ণনগর শহরে মনীষীদের মূর্তিতে মাল্যদান করে প্রচার শুরু করলেন তৃণমূলপ্রার্থী মহুয়া মৈত্র। প্রথমদিনের প্রচারেই ঝড় তুললেন তিনি। বাজনা সহকারে শহরে জোরকদমে প্রচারে নামেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। প্রথম দিনের প্রচার শেষে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী মহুয়া। তিনি বলেন, আমি কাজ করতে এসেছি। উন্নয়ন করতে এসেছি। আমি উন্নয়নকে সামনে রেখেই ভোট করব। দলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বিরোধীদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, জয়ের মার্জিন এবার বাড়বে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে।
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটার অনেক আছে। সেই ভোট কতটা টানতে পারবেন প্রশ্ন করা হলে মহুয়া বলেন, ‘আমি জাতপাতের কোনও ভেদাভেদ করি না। সব মানুষই আমার কাছে সমান। প্রত্যেকের কাছে আবেদন রাখব আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য। মিছিলের মাঝে মহুয়া বলেন, ‘বুথস্তরের সমস্ত তৃণমূল কর্মীকেই এই নির্বাচনী লড়াইয়ে সামিল করতে চাই। এই লড়াইয়ে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সমস্ত মানুষের আশীর্বাদ চাই। এর আগে করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের পাশে সবসময় ছিলাম। এবার কৃষ্ণনগরের মানুষের পাশে সব সময় থাকতে চাই।’ জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, ‘এই বিষয়টি দল সামলাবে।’
ব্যান্ড পার্টি সহযোগে প্রচারে দলীয় সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যায়। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হয়ে মিছিলে হাঁটেন। রাস্তার দুই ধারে থাকা সাধারণ মানুষকে বারবার হাত তুলে নমস্কার করেন তৃণমূলপ্রার্থী। মহুয়াকে দেখতে অনেকেই উন্মুখ ছিলেন। রোদের মধ্যেও এদিন প্রায় তিন কিলোমিটার পথ হাঁটেন তিনি। মিছিল শেষে তিনি বলেন, আমার জীবনের প্রথম রাজনৈতিক লড়াই এই জেলা থেকেই শুরু করেছি। গত তিন বছর ধরে আমি করিমপুরের বিধায়ক। আমি সৌভাগ্যবান যে, এই মাটিতেই লোকসভার জন্য দিদি আমাকে নির্বাচিত করেছেন। এজন্য দিদিকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি ১০০শতাংশ আত্মবিশ্বাসী, এখানে বুথ কর্মীদের এবং প্রতিটি বিধানসভা এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ভোট করব। এই কেন্দ্রে কে দু’নম্বর, কে তিন নম্বর হবে, তা তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিক। আমরা এখানে এক নম্বর আছি। এক নম্বরই থাকব।
শুক্রবার বেলা বারোটা নাগাদ কয়েকশো কর্মীর সঙ্গে জেলা পরিষদের সামনে থেকে হাঁটা শুরু করেন মহিলা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত, কৃষ্ণনগর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহা, কালীগঞ্জের বিধায়ক হাসানুজ্জমান শেখ প্রমুখ। লড়াইয়ের ময়দানে তিনি যে বিরোধীদের এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেবেন না তা হাবভাব, কথায় বুঝিয়েও দেন। দলীয় সূত্রের খবর, লড়াই কঠিন বুঝতে পেরে প্রচারের প্রথম দিনেও হালকা থাকতে চাননি। সোজা চলে যান নাকাশিপাড়া। সেখানে শুনাকাশিপাড়া, বেথুয়াডহরি-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দোলের আগে তিনি নাকাশিপাড়া, কৃষ্ণনগর উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভা এলাকার কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেলতে চান বলে ঘনিষ্ঠেরা জানিয়েছেন।