আসন্ন লোকসভা ভোটের জন্য বাংলায় শুক্রবার কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছল। রাজ্যে মোট দশ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে প্রথম দফায় সাত কোম্পানি বাহিনী এসেছে। এই দশ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে কলকাতায় থাকবে এক বাহিনী কোম্পানি। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, একাধিক এলাকায় বাহিনী রুটমার্চ শুরু করে দিলেও জওয়ানদের কোন এলাকায়, কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, তার চূড়ান্ত রূপরেখা আজ তৈরি হতে পারে আজ উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের বৈঠকের পরে। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘বৈঠকের পরেই আশা করি পুরো বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’ রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপাররা নিজের নিজের জেলায় প্রয়োজন অনুযায়ী বাহিনী ব্যবহারের রূপরেখা তৈরি করবেন।’’
কলকাতায় বাহিনী রাখা হবে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে। জলপাইগুড়ির রানিনগর বিএসএফ ক্যাম্প থেকে ওই বাহিনী এসেছে। লালবাজার জানিয়েছে, প্রথম দফায় আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কলকাতা পুলিশের নয়টি ডিভিশনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। বিভিন্ন ডিভিশনের ডিসির নির্দেশে তাঁরা রুট মার্চ করবেন। আজ, শনিবার থেকেই শহরে রুট মার্চ করতে দেখা যেতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। যদিও কলকাতায় ভোট হবে একদম শেষ দফায়, ১৯ মে। দিঘায় এ দিন এক কোম্পানি সীমান্তরক্ষী বাহিনী পৌঁছেছে। ওড়িশা সীমানায় নাকা তল্লাশি করে বাহিনী। পশ্চিম মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে আগে থেকেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পুলিশ জেলার বাসন্তী এবং কুলতলিতে ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। ক্যানিং মহকুমার বিভিন্ন থানা এলাকায় রুট মার্চ করবে তারা। কুলতলির মেরিগঞ্জ ১ ও ২ পঞ্চায়েত, কুন্দখালি ও চুপড়িঝাড়া এলাকায় শনিবার থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ করবে।